মাস আশ্বিন,
গা শিন্ শিন্,
কোথায় শীতের আগমনী?
বিছানায় শুয়ে গা ঝিমুনী
এখন বৃষ্টি হোচ্ছে। মাঠ ঘাট ফাঁকা
আমি শুয়ে একা
জানালায় চোখ রেখে ভাবছি।
দূরে বহু দূরে ঝাপ্সা দৃষ্টি,
আজ বৃষ্টি, শুধু বৃষ্টি আর বৃষ্টি।
আমার মতই একটা কাক
শরীর ভেজা ক্ষুধার্ত ডাক
দিচ্ছে অসম বৃষ্টির আকাশ চেয়ে,
আজ বৃষ্টি নামছে আঁধার ছেয়ে।
এমন বৃষ্টিতে মজা হোত ভারি
যদি পেতাম ভাজা ইলিশ, ঢিলা খিঁচুড়ী
অথচ আজ বড়ই মংগা পদ্মার ইলিশ
কত লেখালেখি, কত নালিশ,
ইলিশ ঠেকাও হোচ্ছে পাচার।
নইলে বাংগালীপনা, কৃষ্টি, আচার
শেষ হবে বিগত ঐতিহ্য বাসনা।
বাঙ্গালীর খিঁচুড়ী, ভাজা ইলিশ রসনা
আজ যেন আষাঢ়ে গল্প,
যেমন আজ বৃষ্টি কি হোচ্ছে অল্প?
আশ্বিনেও যেন মেঘে আষাঢ়,
আমি আর ঐ কাক অসাড়
হোয়ে ভাবছি ভবিষ্যতের আগামী দিন,
খিঁচুড়ী, ভাজা ইলিশ দূরের কথা, খাদ্যহীন
কি সময় দাঁড়িয়ে আছে সম্মুখে,
দিন দিন প্রতিদিন একে একে
দাম বাড়ছে পেঁয়াজের, নিত্য পণ্যের,
নিজেকে ভাবতে পারি না, কি ভাববো অন্যের
কথা, কে কোথায় আছে কেমন!
আশ্বিনেও এখন বৃষ্টি হোছে এমন।
দেখব জাঁকিয়ে নামছে কন্কনে শীত।
খিঁচুড়ী, ভাজা ইলিশের ঐতিহ্য গীত
হারাবে তখন গরম কাপড়ের সন্ধানে,
আবার এক সংগ্রাম অন্য আয়োজনে,
কোন প্রতিক্ষায় হয়ত থাকতে হবে বসে,
জন্মেছি এমনই এক অভাগা দেশে।
এ দেশে সব আছে, তবু কি যেন নেই!
ভাবতে ভাবতে জানালা গলে তাকাতেই
দূরে দেখি নেই সে ক্ষুধার্থ কাক।
কি যেন ভয়ংকর বার্তায় সে অবাক
করা ভাষায় চিৎকার করেছে কা-কা-
আমি তখনও শংকার জানালায় বসে একা।