ঈদে এবার গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি। দোয়া করো। ১৮ তারিখ থেকে হয়ত তোমাদের সাথে আড্ডা হবে। এবার কুরবানীর ঈদ নিয়ে তোমাদের জন্য একটা কবিতা দিলাম। কেমন লাগলো, এবং ঈদ অথবা পুজা কেমন হল জানাতে ভুলবে না। সকলের জন্য শারোদীয় ১০মী এবং ঈদের শুভেচ্ছা রইল...
---------------------------------------------------  


আবার এলো ঈদ, এবার ঈদ কুরবানীর।
ঈদের খুশি নিয়ে বিত্তশালী পূর্বানীর
ঘরে ঘরে হয়তবা এবার আছে কিছু শংকা!
তবু আনন্দে বাজছে ঈদের খুশির ডংকা,
ঈদের আনন্দ যেন আজ সবখানে-
বস্তির কুঁড়ে ঘর কিংবা দালানে।


সুউচ্চু সুরম্য দালানের নীচে,
বস্তিতে দিন রাত থাকছে বেঁচে
কত শত খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষ,
উড়ায় তবুও স্বপ্নের ফানুস।
হয়ত আছে দুঃখ তাদের, আছে দৈন্যতা,
তবুও নেই বিত্তবানের মত এতটুকু শুন্যতা!


অথচ অট্টালিকার সংসার পার্লারে,
এত অর্থ বৈভব তবু আহারে!
কি যেন কষ্টে রাত হয় ভোর।
আসে না কোন মনচোর
মন্ নিয়ে খেলতে দবানিশি,
সম্পদ যতই হোকনা বেশী,
ঈদ যেন নয়, খানিকটা অর্থের বাহাদুরী।
চড়া মূল্যর পশু হতে হবে, নয় বকরী
ঈদে হবে না ভোটের প্রচারণা
কুরবানী নয় যেন আতংক ভাবনা।


এবার ঈদে তাই পোষাক নয়,
দামী পশু কেনা হল কিনা সেটাই ভয়।
নইলে থাকবে না বড়লোকী ইজ্জত,  
থাকবে না কারও পত্রিকায় মতামত
তাও কি হয় এই কুরবানী ঈদে?
না হলে যেন সে পড়ে যাবে খাদে!
সমাজে তার মুখ দেখানো অবস্থান,
নিমিষেই পড়ে গিয়ে হবে খান খান।


এদিকে ঈদ হবে নীদও হবে বস্তিতে,  
কত সুখ কত আনন্দ মাস্তিতে
চলবে কত স্বপ্ন দেখার কারবার,
ছেলে মেয়ে বউ ঝিয়ের আবদার
মিটবে হয়ত ‘নিলামবালা ছ্য় আনা’ দোকানে,
রোজগেরে পয়সায় বাহারী পোষাক পন্য কিনে
তবু আনন্দ ঢের হবে বড় মস্ত,
মিসকিনের ভাগে পাবে যা গোসত,  
ও দিয়েই আনন্দে কাটবে ঈদ কুরবানী,
ঈদের খুশিতে নাচবে সবাই, নাচবে শহুরে বস্তিখানি।