মানুষের দেহ থেকে প্রান উড়ে গেলে
দেহ হয় পাথর, আর পাথরের প্রান উড়ে গেলে
জল গড়িয়ে পাথর হয় সমুদ্র। জল আর অথৈ জল।
লবনের শিখায় জ্বলে তখন অস্থায়ী আলো,
সে আলোয় চাঁদের জোস্নারা হয় শংকিত।
উতসুক পৃথিবীর হৃদয় গহ্বরে তবুও চলে
জোয়ার ভাটার খেলা।


মানুষ মরে গেলে তারার দেশে চলে যায়,
দেহ পাথর হোয়ে সমুদ্রে গড়ালেও দেহের আলো
মেশে তারার সাথে। তাইত জোয়ার ভাটায়
এত উর্ধ মুখী আকর্ষন আমি নীচ থেকে অনুভব
করি, আর তারার দেশ থেকে নিশ্চই
আমি হবো নিম্ন মুখী যেখানে আমার অস্তিত্ব ছিল,
ছিল শিশুকাল, ছেলেবেলা আর পরিনত সময়।


আমি নশ্বর না অবিনশ্বর তা সময়ই বলে দেবে।
মুখের কথা ফুরোলেই কি শেষ হোয়ে যায় সব,
দেহের প্রান পাখি উড়ে গেলেই কি মৃত্যু হয় কারও!
তাহলে কবিতার গায়ে যে কথা, শব্দের ভেতরে
যে প্রান তার কি হবে! ওযে আমি আর আমার
অনাগত মহাকালের একক অস্তিত্ব।


{এ সুখপাঠ্য কবিতার আসর এবং আসরের বন্ধু মেলায় আজ আমার ১০০তম কবিতা প্রকাশ করলাম। আমি কৃতজ্ঞ আমার সকল কবি বন্ধুদের কাছে এবং ঘাড় টানলে মাথা আসার মত এডমিন কূলের কাছে এ জন্য যে, সকলের ভালবাসা এবং উতসাহে এ আসরে আমি অনেক ভালোবাসা নয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করছি।


তোমরা জানলে খুশি হবে যে তোমাদের সাথে থেকে কবিতা লিখতে লিকেতে কবিতা জমে যাওয়ায় এবার এ আসরের জন্য লেখা আমার কবিতার ভেতর থেকে ভালোবাসার কবিতা নিয়ে আগামী ২১শে বই মেলায় “ভালোবাসার  সাতকাহন” শিরোনামে একটা বই বের করার জন্য ইতিমধ্যে প্রকাশকের হাতে কপি তুলে দিয়েছি। বইটির শিরোনাম এর ব্যপারে কারও ভিন্ন নাম থাকলে তাকে স্বাগত জানাবো। সহজভাবে এ কাজটুকু এবার করতে পেরেছি কেবল তোমাদের সকলের ভালোবাসার জন্য। কেমন লাগলো জানাবে...}