অথচ ধুয়ে মুছে যাবে জেনেও একদিন শৈবাল দ্বীপের বালুবেলায়
এঁকেছিলে ভালোবাসার চিহ্ন। প্রথমে আবেগ, হাসি,  তারপর দুই
চোখে জল। সাগরের অথৈ জল থেকেও সে চোখের জল ছিলো ভারী,
গভীর এবং অনুক্ষন।সাগরের ঢেউ ছিলো বিচলিত, ভাটার টানে
তাই ফিরে যেতে যেতে বাতাসের কানে রেখে গিয়েছিলো তার ছোট্ট
বেদনার সুর আর বলেছিলো- মুছে যাওয়া সে চিহ্ন খুঁজে নিতে
তোমার মনের বালুয়াড়ি সৈকতে, তুমি যদি সত্যিই বুঝো প্রনয়ী
ভালোবাসা কাকে বলে।


সুর্যোদয়ের সমুদ্র থেকে এক আঁজলা জল তুলে নিয়ে বলেছিলে
এমনি করেই তুমি আজীবন তৃষ্ণা মিটিয়েও তৃষনার্ত থাকবে কেবল  
পুজনীয় প্রেমের জন্য। হৃদয়ে বিশ্বাস, কন্ঠে সাহসী উচ্চারণ তারপর
ঘন মেঘ করা মুখ। আষাঢ়ের ঘন কালো মেঘ থেকেও সে মেঘ ছিলো
কালো, ভয়ংকর এবং বিলুক্ষন। মেঘেরা ছিলো ক্রন্দন্মুখ, তবুও
বৃষ্টি ধারায় না ঝরে সুর্যের চোখে চোখ রেখে বলেছিলো- তোমার
সকালটা করোজ্জ্বল হোক আর সে আলোয় খুঁজে নিও তৃষনার্ত
ভালোবাসার স্বাদ- টক, ঝাল না মিষ্টি।  


হারিয়ে যাবে জেনেও থেমে যাওয়া নূড়ির আখরে শিরিশ গাছের
বাকলে লিখেছিলে প্রিয় নাম। কত উচ্ছাস, কত স্বপ্ন তারপর
কত ভয়। যদি কেউ মুছে ফেলে, কেউ দেখে ফেলে অথবা
জানাজানি হয় প্রেমের কথা। গেরস্থ প্রেমের উত্তাপ তাই বড্ড
শীতল। সাগরে বরফ গলা জলের প্রশ্রবণ থেকেও সে উত্তাপ
ছিলো তিব্র, বিস্তৃত এবং আশরীর শিহরণ। গলতে গলতে বরফের  
পাহাড় তাই বলেছিলো- তোমার ভালোবাসায় কখনও সন্দেহের
পাহাড় খাড়া হলে, অভিমানের রং গাঢ় হলে অথবা ভালোবাসায়
চিঁড় ধরলেও বরফের উত্তাপকে বুকে ধরো ভালোবাসাকে উষ্ণ করতে।