সবুজ ঝাউবনের সমুদ্র বাতাস ছিল
তোমার ফাল্গুনী ভালোবাসা রঙ্গের মত উন্মত্ত।
তুমি সে বাতাসের বিরামহীন শব্দে মোজার্ট,
বেটোভেন অথবা রবিশংকরের মিশেল অঙ্গুলি
ছোঁয়ার সিম্ফোনিতে সুরের গা ছুঁয়ে আনমনে
গাইতে প্রেমের মিষ্টি গান জলযান হুইসেলকে  
সেক্সফোনের সুর ভেবে এমনভাবে যেন নোনা
প্রকৃতি তোমার গানের প্রতিক্ষা ভেঙ্গে চঞ্চল
হোত ঢেউয়ের পর ঢেউ ভেঙ্গে বেলাভূমিতে
উল্লাসে আঁছড়ে পড়ার জন্য। তুমি গাইতে-  


আকাশের সব নীল যদি
এনে দিই তোমার চোখের লোনা জলে,
তবু সাগর হারিয়ে যাবে তাতে,
তোমার দুটি কাজল চোখের অতলে।।


তোমার ঐ মায়া চোখ দুটি যেন
গান গাওয়া চঞ্চল দোয়েল পাখি,
গাংচিল হারায় তার ঠিকানা
মোহনার খোঁজে করে ডাকাডাকি।
চাঁদের আলো এসে লুটে পড়ে
তোমার পাপড়ি মেলা চোখের কাজলে।।


তোমাকে ছেড়ে আমি থাকতে একা
পারব না কোন দিন পারব না,
যতই আসুক ঝড় জলোচ্ছ্বাসের
তোমার বুকের ঠাঁই কভু ছাড়ব না।
আমি সাগর বেলায় থাকব পড়ে
তোমার আশায় আশায় প্রদ্বীপ জ্বেলে।।


হঠাত আমার চোখে চোখ পড়লে তুমি থমকে যেতে,
টোল খাওয়া গালে টোল খেত সমুদ্র গর্জন লজ্জা পেতে।
তুমি ঝাউগাছে হেলান দিয়ে বাড়াতে হাত, হাওয়ায়
ভাসত ভালোবাসার আঁচল বিপদহীন সংকেত এর আবেগ
জড়াতে,  আমার পা মন্থর হত ঘন বালুর আধার ভেঙ্গে
ছুটে যেতে তোমার কাছে, তবুও ছুটে যেতাম ঐ বক্ষের
অসীম সমুদ্রে বিলীন হতে, আর তুমি ঝাউবনের সমুদ্র
বাতাসের মুগ্ধ সুরে শোনাতে আমায় প্রেমের মিষ্টি গান।