স্বদেশের স্বতন্ত্র নগ্ন বাতাসে,
কেমন কষ্ট হোচ্ছে আজকাল নিঃস্বাশ প্রশ্বাসে।
জন্ম নিচ্ছে কিছু রুগ্ন শিশু মাতৃগর্ভে,
অথচ মরছে কিছু বলিষ্ঠ যুবক অনর্থ প্রভাবে।
চারিদিকে কেবল বিষাক্ত বাতাস মুল্যবোধের,
এ যেন অনাকাংখিত প্রকাশ আত্ম ক্রোধের।
পা বাড়ালেই পাই পাপের দুর্গন্ধ,
চারিপাশে সব কিছুই যেন নষ্ট মন্দ।
কোথায় দাঁড়াব আজ শহীদ মিনার নীরবে কাঁদে,
আর কত স্মৃতি সৌধ দাঁড়াবে অকাল নিনাদে।
বাংলার মাটি যে আজও রক্তবানে ভেজা,
কে এসে দাঁড়াবে বলিষ্ঠ পদে জাতিরে করতে সোজা।


গোটা জাতির দেয়াল যেন হয়েছে আজ পোষ্টার,
কোনটা যে সত্য, কোনটা যে মিথ্যা, কোনটা যে নিষ্ঠার
স্লোগান, কত স্লোগান, যেন অসভ্য নীরব বিভতস্য চিৎকার,
নয়ত সভ্যতা কেড়ে মুখের ভাষা হয়েছে এখন ভয়ংকর পটকার।
নগ্ন বাতাস তাই বধ্য যেন আজ বারুদ পোড়া গন্ধে,
শয়তানের প্রেতাত্মা আজ ঢুকছে রোমকূপের রন্ধ্রে রন্ধ্রে।  
একবিংশ শতকে গড়তে আর এক আধুনিক ট্রয় নগরীর,
যেন অন্তরালে ধীরে ধীরে সম্পন্ন হচ্ছে ধংসের অশরীর।
একে রুখতে হবে, ভাঙ্গতে হবে, গড়তে অধুনা সুস্থ প্রান্তর,
যেখানে থাকবে না লাঞ্ছনা, বঞ্চনা, খুন, ধর্ষন, ভয়, ডর।
ভাইয়ের রক্তের দামে কেনা হায়রে আমার মাতৃভূমি!
শান্তির আশায় আর কত প্রতিক্ষায় থাকব কদম চুমী?  
  
{ট্রয় নগরীর সভ্যতা ১২০০ খ্রিস্ট পূর্ব “ট্রোজান” যুদ্ধে ধ্বংস হয়ে যায়। মর্মান্তিক ব্যপার হল, এ যুদ্ধে শুধু নগর  পুড়ে গেছে তাই নয়, বরং হিংস্রতা, ক্রোধ, জিঘাংসা, প্রতিহিংসা এবং বিশ্বাস, মায়া আর ভালোবাসার মৃত্যু হলে মানুষ মানুষকে নৃশংস ভাবে খুন করেছে একে অপরকে দিনের পর দিন যত দিন না তারা নিজেরা শেষ হয়ে যায়।
এ নগরী তুর্কীর দক্ষিন পূর্ব কোনে এয়েজিয়ান সাগরের পাদদেশ ছুঁয়ে অবস্থিত। গ্রীক সভ্যতার “ইলিয়াড” কবিতায় ট্রয় নগরীর ধংসের চিত্র প্রথম বর্নিত হয় খ্রিষ্ট বহু বছর পূর্বে (সংক্ষিপ্ত)... (জানি না আমরা কোন দিকে  এগুচ্ছি!!)}