মধ্য পৃথিবী পেরুতেই দেখি সাদা (ঘোলা) আর কালো পানি কেমন
অমিশ্রিত থাকে দুই সাগরের স্বাদ নিয়ে, আমি অবাক হয়ে দেখি জলজ
প্রানিরাও বাতাস ছুঁতে চায় পাখায় ভর করে আবার আছড়ে পড়ে কোন
জলের বর্ণ বৈসম্য ভুলে তার চলার পথে। সেখান থেকে শুরু করে যত
দূর চোখ যায় দক্ষিনে দেখি কাল আর সাদা মানুষের মিশেলে এক আরন্যক
জনপদ। কেমন এড়িয়ে এড়িয়ে চলা, কেমন রোবোটিক কথা বলা, কেমন  
উদাসীনতা আদী আর কলোনী কালচারে।

এর পর আমি আরও অন্তিম দক্ষিনে তাকাই, দেখি ঘন পানির আধার,
শুধু পানি আর পানি। ঐ জল রাশির কোথাও কোথাও পানির ভয়ংকর
লাল চোখ তার জলোচ্ছাসের অগ্নি নাটা ঘুরায়, আমাকে শাসন করতে চায়
মৃত্যু ভয় দেখিয়ে। আমার চোখের পাতা বন্ধ হয়ে আসার আগেই দেখি
সাদা কালো মানুষের দেশ। যে দেশে “বর্ণবাদী আন্দোলন” এর ক্রুক্ষেত্রে কত
মানুষকে সংহার করতে করতে থমকে দাঁড়ায় নেলশন “মেন্ডেলার” পবিত্র
যাদুর ছোঁয়ায়। তার পর প্রেম আর প্রেম, সাদা কালোতে ভালোবাসাবাসির
স্বপ্ন দুয়ার যেন খোলা।

আমি হিমালয়ের চূড়া গলে পুর্বে চোখ মেলি, দেখি সুর্যদয়ের দেশে সদা হাস্য
নর-নারীরা কি ভাবে “মেজি রেস্টোরেশন” মন্ত্র মুগ্ধের মত ত্যাগের মহিমায়
ক্ষুধাকে আশির্বাদ ভেবে খাদ্যের বিনিময়ে গড়ে শিক্ষালয়, কি করে খাদ্যের
দানা একে একে হয় বর্ণমালার জ্ঞানকোষ, তার পর ধীরে ধীরে দিনের পর
দিন, বছরের পর বছর, দশকের পর দশক সৃজনশীলতায় নির্ভার হয়ে শির
ছুঁতে চায় এভারেস্ট চূড়া বিশ্বকে অবাক করে চেরী ফুলের মুগ্ধতায়।
(চলবে)