তোমার নিরাপদ পাড়ার বাহারী রঙ্গিন কাঁচ ঘরে কত মেহমান,
সংগ পাওয়ার উত্তেজনায় কত দিন রাত্রির সময় অসময় বহমান
বিভিন্ন সংলাপে রত থাকে অবিশ্বাসের নিশ্বাস বন্ধ করা ঘোর নিভৃতে,
আমি দরজার এ পাশে আনমনা হই তোমার অপ্রাসংগিক বিবৃতিতে।
তুমি সাংবাদিকদের এড়িয়ে যাও, যে কথায় গন্ধ থাকে ষড়যন্ত্রের,
তাই রাজপথকে খুনের আগুনে তপ্ত করতে বেহুদা আওয়াজ গনতন্ত্রের।
অথচ অন্তরে লক লক করে অবৈধ সম্পর্ক আর সম্পদ লিপ্সার জিহ্বা,
অপেক্ষায় থাক কখন সুজোগ এসে কড়া নাড়াতেই উষ্ণ চুম্বনের বাহবা  
পাবে- তোমার কাঁচ ঘরের মেহমানদের উষ্ণ আলিংগনে হোটেল পাঁচ তারায়,
আধো আলো আধো ছোঁয়া ক্রিস্টালের গোব্লেট ভর্তি বিদেশী মদের নেশায়।

রাত্রি মাতাল হবে, বিছানা মাতাল হবে, মাতাল হবে প্রতিহিংসার রাজনীতি,
মা সন্তান হারা হবে, স্ত্রী স্বামী হারা, পিতৃ হারা হবে সন্তানের শেষ নিয়তি।
কি এসে যায় তাতে কার মাথার উপর অবলম্বনের টুকরো ছাদ গেল ভেঙ্গে,
আলু থালু বেশভুষা বক্ষ ভাঁজে টান টান করে চিরুনী চুলে ঠোঁটটা নাও রেংগে।
অডোর ছোঁয়া উত্তেজনার ঘাম মুছে ফেলো ভোরের আলোর মৃদু উত্তাপে,
অথচ প্রাত্যহিক রোজগেরে মানুষ অনাহারে মরছে তোমার সরল ঘৃন্য পাপে।
সে সমালোচনায় তুমি লজ্জিত নও, বরং তুমি হও আরও অতি নষ্ট ভয়ংকর,
আমি তোমার কাঁচ ঘরের দরোজার এপারে বসে হই অব্যক্ত কষ্টে খুব কাতর।
তবুও আমি বসে থাকি তোমার ভেতরের আসল মানুষটাকে করতে জাহির,
নইলে যে আজও অজানাই থাকবে নেপথ্যে কারা এই সমাজের জঘন্য শরীর।