এখন প্রতিদিনের পত্রিকার সকল হেড লাইনের
সাথে ব্যক্ত অব্যক্ত, বুঝা না বুঝা তোমার মনের
মাধুরী মিশিয়ে যত রকম খারাপ ভাবনা ভাবা
যায় তা ভাবতে থাকো। ব্যাস তোমার পত্রিকা
পড়া শেষ। কিন্তু আমারটা শেষ হতে চায় না।
কারন কোন পত্রিকা হাতে আসলেই আমি আজও
তোমাকে খুঁজে বেড়াই সাহিত্যের পাতায় নিভৃতে  
তোমার কবিতা পড়ার জন্য, তোমাকে খুঁজে  
বেড়াই তোমার অলিখিত গল্প পড়ার জন্য। অথবা
বিনোদনের পাতায় খুঁজি তোমাকে। সেলিব্রেটি
হতে চেয়ে সুখের যে ঘর ভাঙলে তার কতটুকু
পুর্ণ হল।  

আর খুঁজি, আমাকে নিয়ে আজও কোন অনুযোগ
করো কি না আত্ম কথায়, আজও অভিমান করে
বল কিনা- তোমায় সময় দিত না তোমার ঘরের
মানুষটা! কবিতা আমি বুঝতাম না, গল্প আমি
শুনতাম না। আমার কি দোষ বল? পেটের ধান্দায়
বসকে খুশি করতে গিয়ে উপেক্ষা হত লেবার ‘ল,
আট ঘন্টার অফিস হত বার ঘন্টা, সকাল থেকে রাত্রি।
কেবল চাকুরী আর চাকুরী, ক্যারিয়ার, প্রমোশন...।
আর কাহাতক ভালো লাগে কবিতা আর গল্পের রস।
ঐ রাত্রিতেও যেখানে তোমার রসই উপেক্ষা হত আমার
নিরস সুখের অঙ্গ কোষে।

দেখ তো ভালো করে আমায় চিনতে পার কি না?
মাথার চুল পেকেছে, চামড়ায় ভাঁজ পড়েছে, আগে
দাড়ি ছিল না। এখন মুখ ভর্তি কাঁচা পাকা দাড়ি,
মাথায় টুপি, হাতে তসবিহ্‌, ভিন্ন রকমের লেবাস।
আসলে শেষ বয়সে মৃত্যুর ভয়, স্রস্টার ভয়, শেষ
কৃত্যের ভয়। তাই মনকে প্রবোধ দেয়া। আর নির্জন  
একাকীত্বকে ভালবাসতে মানুষকে এড়িয়ে চলা,  
তোমারকে কাছে পেতে সসময়কে এড়িয়ে চলা,
তোমাকে স্মরণ করতে জগতকে এড়িয়ে চলা।

যখন কবিতাকে ভালবাসতে শিখলাম তখন দেখি
তোমার ভালবাসা হারিয়ে গেছে,  
যখন গল্পকে ভালবাসতে শিখলাম তখন দেখি
তোমার কথার গাঁথুনি হারিয়ে গেছে,  
যখন রাতের রসকে ভালবাসতে শিখলাম তখন দেখি
দেহের যৌবন হারিয়ে গেছে,  
যখন মানুষকে ভালবাসতে শিখলাম তখন দেখি
ড্রয়িং রুমের আড্ডাটা হারিয়ে গেছে,  
আর যখন ধন সম্পদকে উপভোগ করতে শিখলাম
তখন দেখি আমার এক পা কবরে!