ইদানিং বুঝতে পারছি আমার নষ্টালজিয়াটা কিসে
হয় সবচাইতে বেশী। ওটা পরে বলছি। আগে শোন
আমার নষ্টালজিক হওয়ার প্রথম অনুভূতি আর
বিষয়গুলো। কৈশোর পেরিয়ে যাওয়ার আগ অবধি
বুঝতামও না, এমন শব্দের সাথে খুব একটা
পরিচয়ও ছিল না আমার। তখন কারও প্রেমে
পড়েছি কিনা তাও বুঝি না। তবে নির্জনতাকে ভালো
লাগা শুরু হল। কেমন একা একা থাকতে ভালো
লাগে। গুরুজন, স্নেহাভাজন সকলকেই উপেক্ষা
করতে ইচ্ছে হয়।


বাঁশ ঝাড়ের বাতাসের সুর ভালো লাগত, কোকিলের
গানে মুখ ভেংচানি বন্ধ হয়ে মুগ্ধতা ধরা দিল। দিদির
চোখে চোখ রেখে কথা বলা বন্ধ হয়ে গেল। খাঁচায়
পোষা ময়না পাখিটাকে মুক্ত আকাশে ছেড়ে দিতে মন
চাইত। কবুতরের বাচ্চা গুলোকে আধার খাওয়ানোর
ব্যকুলতা বৃদ্ধি পেলো। সন্ধ্যার  আকাশকে কাছে
পাওয়ার আগেই পাখিরা নীড়ে ফিরলো কি না
এ নিয়ে ভাবনা বাড়লো। বিকেলের আকাশে মেঘ
দেখলে মন খারাপ হত, প্রতিদিন কিছু চেনা পথে
হাঁটতে মন চাইত বলে।
(চলবে...)