তখন একটু একটু বুঝতে পারছিলাম ঐ রাস্তায়
কিছু বাড়ির মধ্যে একটা বাড়ির দিকে আমার
পলকহীন দৃষ্টি কাকে যেন খুঁজে পেতে চাইত।
ঐ বাড়ির এক সুন্দরী মেয়ে আমার কাছে “দস্যু বনহুর”
বই চেয়ে নিয়ে পড়েছিল। ঠিক সেদিন থেকেই বুকের
মাঝে এক শিহরণ বাসা বাঁধতে শুরু করে। ওটাকেই
নাকি প্রেমের দোলা বলে।“দস্যু বনহুর” বইটা ফিরে
পেয়েছিলাম ঠিকই, তবে হাতে লিখা অতিরিক্ত পৃষ্ঠাসহ।
বই ছিল ১২৮ পৃষ্ঠার, হয়েছিলো ১৩১ পৃষ্ঠা। তখনও বুঝিনি  
একে প্রেম শুরুর মুর্ছুনা বলে। হাতে লিখা অতিরিক্ত
পৃষ্ঠাকে যতনে লুকিয়ে রাখতে হয় বুকের মাঝে ।


আমার রাত কে ভালো লাগত, আমার চাঁদকে
ভালো লাগত, আমার প্রেমের কবিতা পড়তে
ভালো লাগত, আমার অতি নিকট বন্ধুকে সবসময়
কাছে পেতে ইচ্ছে করত, দীঘির সাথে কথা বলতে
ভালো লাগত। সবুজ মাঠের সাথে কথা বলতে
ভালো লাগত। আর খুব খারাপ লাগত রেল সড়ক
ধরে চলে যাওয়া অনেক দূরে ট্রেনের পেছনটুকু দেখতে,
খারাপ লাগত ঐ মেয়ের বাড়ির সামনে পায়ে চলা
পথটুকু ফুরিয়ে গেলে। খারাপ লাগত কেউ দেখে
ফেলবে এই ভেবে কোন দিন অতিরিক্ত পৃষ্ঠাগুলো
প্রান ভরে পড়তে পারতাম না বলে।