রাত আমার চোখে এসে বসত আমাকে ঘুম পাড়নোর  জন্য,
ঘুম আমার বিছানায় গড়াগড়ি খেত আমাকে নিয়ে
স্বপ্নের রাজ্যে হারিয়ে যেতে। কিন্তু আমি পাশ ফিরে
শুয়ে থাকতাম, ভেতর থেকে উথলে উঠত চোখের জল,
তাই দু’চোখের পাতা ইচ্ছে করলেও আর এক হত না।
কেবলই ভাবনা- আমার কি হয়েছে, আমাকে কেউ বশ
করা তাবিজ দিয়েছে কি না। আমি জানালা খুলে
দূর আকাশে চেয়ে থাকতাম, দেখতাম চাঁদ কেমন সারা
রাত আমার মতই জেগে জেগে ক্লান্ত, জ্যোস্নার  আলোর
তীব্রতা হারিয়েছে, তবুও মুগ্ধতা ধরে আছে সেই মেয়ের
মায়াবী মুখের মত। আমি কি যেন বলতে চেয়েও থেমে
যেতাম, চাঁদ ডুবে যেত বিধুর অভিমানে।  


তারপর আমার কোন সাড়া না পেয়ে ঐ মেয়েই একদিন
জিজ্ঞেস করল আমি কেমন আছি। আর একটা “দস্যু  বনহুর”
চাওয়ার আগেই পৃষ্ঠা বেড়ে যাওয়ার ভয়ে আমার মুখ খুলল।
দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে বললাম ভাল নেই, বুকের মাঝে অচেনা ব্যথা।
ও বলল- ওটা ভালোবাসার অঙ্কুর, আমি বললাম আমাকে
আনমনা একা একা ভাবতে ভালো লাগে। ও বলল- ওটাকে
নষ্টাজিয়া বলে, আমি নষ্টালজিয়ায় ভুগছি। এটা প্রেমের রোগ।
কিসের প্রেম, কেমন প্রেম,  কার সাথে প্রেম, সেটা বলে
গেল না। আমি জানতে চেয়ে জিদ ধরার আগেই সন্ধার আলোতে
হারিয়ে যায় তার দুষ্টু হাসি। যা আমার আজও জানা হয়নি।