যেদিন হাতটা ধরে এক ঝটকায় পার্কের বেঞ্চিতে
বসিয়ে বললে- তুমি আমাকে ভালবাস, আমাকে
ছাড়া তুমি বাঁচবে না, সেদিন থেকেই আমি কেমন
যেন আবদ্ধ হয়ে গেলাম কোন এক ইন্দ্রীয় বলয়ের
মধ্যে। আমার মুক্ত স্বাধীন ভাবনারা যেন মুহূর্তে হল
উধাও- খাঁচায় বদ্ধ ডানা ঝাপটানো পাখিটার মত।


এমন অকস্মাৎ নাটকীয়তায় তখন সন্ধ্যা যেন
থমকে ছিল নামার অপেক্ষায়, ঝিরি ঝিরি বাতাস
ছিল উধাও, পাখিদের চঞ্চলতার গান ছিল স্তব্ধ,
সম্মুখে লেকের জল ছিল শান্ত এবং স্থির। আমিও
ছিলাম বাক রুদ্ধ। কেবল অস্থির ছিল দু’টি চোখ।
আনন্দ, বেদনা, শংকা নাকি বন্ধন অনুরাগে
তখন চোখের জলের স্বাদ কি ছিল- বুঝিনি।


সেইতো শুরু, দু’টি জীবনকে এক করে নেয়ার
রিহার্সাল। এখনও তা অব্যাহত। আসলে দু’টি
জীবন কি এক হয়, দু’টি মন কি এক হয়, নাকি
দু’টি জীবন আর মনকে এক করা যায়? মানুষ
তার নিজ নিজ সত্তা নিয়েই বাঁচে ভেতরে ভেতরে
আজীবন। যাকে এক হওয়া বল, তা আদতে  
স্বধীনতার আড়ালে পরাধীনতার শেকল!