স্রষ্টা তোমার জরায়ুর শিক্ত অকাল ভ্রুন,
বিচার না করেই তার ভবিষ্যত গুনাগুণ,
ঝরিয়েছিলাম কোন এক ক্ষ্যাপা অজ্ঞতায়।
বুঝিনি তখন মুহুর্তে কোন সভ্যতা হারায়
তাতে, হারায় কোন বিবেকের নগ্ন আলো,
বুঝিনি কোনটা মন্দ আর কোনটা ভালো।


জানি না, এ ছিল কত বড় জঘন্য পাপ!
এতদিনেও যখন ক্ষয় হয় না সে অনুতাপ-
তখন ভাবি পাপের চেয়েও যে নরক যন্ত্রনা,
আমাকে প্রতিনিয়ত পোড়ায় তোমার বন্দনা
থেকে, ভয় কেবলই ভয় আর বিবেকের দংশন,
পাপবোধ আর প্রবঞ্চনা হৃদয়ে গেড়েছে আসন।


কখনও মনে হয় যদি সেই ভ্রুন মুখ দেয় উঁকি,
অথবা কোন বিচার চেয়ে এসে দাঁড়ায় মুখোমুখি,
কোনদিন আমার পথ আগলিয়ে করে তীব্র প্রতিবাদ।
আমি তখন করজোড়ে কি বুঝাব সে অকাল আবাদ
কেন নষ্ট হয়েছিল আমার বোধহীন সরল মূর্খতায়?
নাকি বলব- আমি নই, এ পাপ করেছে বিধাতায়!