আমার মনের আঙ্গিনা এখন যেন পরিত্যাক্ত শিল্প-কারখানার
আঙ্গিনার মত। কাঁচা মাল নেই, তেল নেই, জল নেই,বিদ্যুৎ  
বিল বাকি, শুল্ক বাকি, শ্রমিক নেই। তাই চারিদিক নিস্তব্ধতা,
সুনসান এক ভূতুড়ে পরিবেশ।


যেখানে বিভিন্ন ফরমার খদিত ছাঁচে তৈরী হত কত বাহারী
পন্য, যেখানে মেশিন আর মানুষের নিত্য দিনের উৎপাদন
মিছিলে ছিল মুখোরিত চারিপাশ, সেখানে আজ বুনো উচ্ছ্বাসে
বেড়ে উঠছে অর্থহীন পরগাছা।  


আমার মনের চৌ-চালা ঘর এখন যেন এক ভূতুড়ে খোঁয়াড়।
লতায় জড়ানো পরগাছারা তবুও হচ্ছে হৃষ্টপুষ্ট গুমোট বাঁধানো  
বাতাস গায়ে মেখে, বিকল যন্ত্রের হলুদ মরিচা গন্ধ তবুও
ছড়ায় ঐতিহ্যের খান্দানী মোড়কে বঙ্গীয় “শিল্প”।


তাইত এখনও জীবনের শেষ অস্তিত্ব খুঁজে পাই। যখন দেখি-  
দেয়ালের ফোকরে ফোকরে কিছু বেওয়ারিশ কবুতর উড়াউড়ি
করে দিনরাত, তক্ষকের  রাশভারী খাদের আওয়াজ ভাঙ্গে
গুমোট নীরবতার দেয়াল, ইঁদুরের সতর্ক পা বাতাসে খুঁজে
সাপের নিঃশ্বাস, তখন মনে হয় “শিল্প” এখনও বেঁচে আছে।  
শুধু দরকার বলিষ্ঠ হাতে শৈল্পিকতার।