শেষমেষ বরষার নতুন বৃষ্টিতে ভিজে একটা অসুখে
পড়তেই হল। জ্বর, সর্দী, কাশি আর মাথা ব্যাথা।
যদিও আমি অসুখী নই। তবুও অসুখ বিসুখ বলেতো
কথা। শরীরের ভেতরে এখন হয়ত অনেক অসুখই
বাসা বেঁধে আছে, যারা দৃশ্যমান নয়। তবে এখনকারটা
ডাক্তার বলেছে- ইনফ্লুয়েঞ্জা!


কত বছর? ঠিক মনে পড়ছে না কত বছর, এমন জল
গড়িয়ে সর্দী,কাশি, জ্বর আর মাথা ব্যাথা। আম, জাম,
কাঁঠালের মাস অথচ কিছুই খেতে ভাল লাগছে না। ছোট  
বেলার কথা মনে পড়ছিল। শিয়রে মা’র উৎকণ্ঠার দৃষ্টি,
মাথার চুলে বিলি করে জল ঢেলে জ্বরের উত্তাপ কমানোর
প্রচেষ্টা, আঁচলে সন্তানের নাকের সর্দী মুছে দিতে দিতে
খোদার দরবারে তাঁর কত মানত!


এমন অসুখ সারাতে এখন আর এসব নিয়ে তেমন কেউ  
ভাবে না। তিন দিনের অসুখ। এ তো এমনিতেই সেরে যাবে।  
তাই কাঁচা বাজারের জন্য থলে হাতে বাজারেও যেতে হয়।
অফিসের কর্তা ব্যক্তিরাও ভূরু কুঁচকে থাকেন। অসুখের
কষ্টটা কেউ বুঝতে চান না।


তখন বড্ড বেশী মনে পড়ে মা’কে। এমন কষ্টটা কেবল
মা’ই যে বুঝতে পারে। মনে পড়ে মা’র সংসার ব্যস্ত মলিন
আটপৌরে শাড়ীর আঁচল। শুধু সর্দী মুছা নয়, যে আঁচলের
তলে হাজারো অসুখ নিয়ে পড়ে থাকা যায় যুগ যুগ ধরে,
তবুও অসুখকে অসুখ বলে মনে হয় না। যেখানে থাকে
কেবল সুখ আর সুখ।