(সদ্য প্রয়াত বরেণ্য কবি আবুল হোসেন এর স্মরণে)


(ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)- তুমি চির নিদ্রায় চলে গেলে,
আমরাও তোমাকে এ ভাবেই অনুসরণ করব। এতটা বছর
বেঁচে থেকে কত কি-ই তো তুমি দেখলে, আরও কত কি-ই তো
তোমার দেখার ছিল, এত জানলে তারপরও কত কি-ই তো
অজানা রয়ে গেল। তারপরও কত কিছুই তো তুমি বলেছ তোমার প্রবন্ধ,
গল্প, কবিতা আর অস্তাচল সাহিত্যে কত বেদনা অথবা সুখের রাতকে বুকে চেপে।  


কবিরা কত কিছুইনা ভাবে, কত কিছুর ছবি আঁকে,
কত অচেনা অজানা সত্যকে বুকের মধ্যে লালন করে, অসম্ভবকে সম্ভব
করার হাজারও মন্ত্র আংগুলের কড়ায় বয়ে বেড়ায়, তার সব কিছু
কি কবি লিখতে পারে এক জনমে! তাহলে তো প্রকৃতিকে পিছু ফেলে
প্রতিদিন এই জীবনের রঙ, স্বাদ, হাসি, কান্না, তামাসা, ভালবাসা
আর বেঁচে থাকার অর্থ স্বপ্নের মত পাল্টাত ক্ষনে ক্ষনে।

তাইত কবিদের বেশী দিন বাঁচতে নেই, বেশী দিন বাঁচাও যায় না।
তবুও যে বেঁচে থাকে এক জনমে নিংড়ানো তাঁর অমর সৃষ্টি ,
শুভ্র পাতায় যতটুকু চিহ্ন এঁকে দিয়েছিল কলম তার বলিষ্ঠ আংগুলের
ডগায় মনন ইশারায়, যতটুকু মুহুর্ত বিনিময় হয়েছিল কৃপন বুড়ো সময়ের
হাত থেকে, সেই শুভ্রতার মোড়কেই বিসৃত হতে যতটুকু প্রান ছিল দেহে
সেটুকুই ছিল যেন তাঁর বেঁচে থাকা!


এই যে জীবনে রুঢ় সত্য আর মিথ্যা নিয়ে যতটুকু জানিয়ে দিতে
তুমি মননের বীজ রোপন করে গেলে সাহিত্যের সবুজ আঙ্গিনায়,
এই যে কত স্বপ্ন, কত চাওয়া, কত অধিকার, কত ন্যায্য দাবী তুমি রেখে গেলে
এখনও যাঁরা বেঁচে আছে তাদের জন্য, তারা কি তোমার সব কিছুকেই অনুসরণ করতে পেরেছে?
পারেনি এবং কোন দিন তা পারবে বলেও মনে হয় না। তবে এটা নিশ্চিত জেনো  
তুমি যেখানে যেভাবে চলে গেলে সে ভাবে সে পথকে ভাল না বাসলেও তাকে যে  
অনুসরণ করতেই হবে সকলকে- ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।