আমি পিরামেডিক আকৃতিটাকে এবার স্মৃতিসৌধ আকৃতিতে নিয়ে কবিতার ধরণকে   “স্মৃতিসৌধ কবিতা” নামকরণ করে এর সাথে কতগুলো মৌলিক ভাব ও বিষয় নিয়ে ভাবতে চেয়েছি। যেমন এই  “স্মৃতিসৌধ কবিতা” গুলোতে শুধু মাত্র  দেশ  প্রেম, মাতৃভূমি মা, ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা, মুক্তি যুদ্ধ, পতাকা ইত্যাদি নিয়ে অর্থাৎ দেশাত্ববোধ নিয়ে বিভিন্ন কথা মালায় সাজানো থাকবে দেশের কবিতার কাতারে।


কবি বন্ধু ইমতি’র ঘারানার সাথে অন্যান্য বিষয়ের মত এখানে কেবল অক্ষর গুনে (যুক্তাক্ষরকে একটি অক্ষর হিসেবে নিয়ে) প্রথম লাইনে ০১ অক্ষর, দ্বিতীয় লাইনে ০২টি, তৃতীয়তে ০৩টি অক্ষরের শব্দ, এভাবে যতটি লাইন নান্দনিকভাবে একটি পাতায় কবিতার ভাব, বিষয়, সৌন্দর্য, আবেদন, ছন্দ (প্রয়োজনে) ইত্যাদি ঠিক রেখে লেখা যায় তা করা যাবে, শুধু মাত্র পঞ্চদশ লাইনের হতে হবে তা নয়। এ ছাড়াও এ কবিতা কেবল মাত্র অবরোহী ধারায় লিখিত এবং পঠিত হবে।


সর্বপরি বা মোদ্দা কথা জাতীয় স্মৃতিসৌধ’র আকার নিয়ে “স্মৃতিসৌধ কবিতা” হতে হবে এককভাবে কেবল মাত্র দেশাত্ববোধের উপর। এটা এ জন্যই যে “স্মৃতিসৌধ কবিতা” বললেই যেন আমরা বুঝতে পারি আমরা দেশের অর্থাৎ দেশাত্ববোধের কবিতা নিয়ে কথা বলছি।    
.......................................................................................



                           ও
                         মাগো
                        কেন যে
                     আজো কাঁদো
                     ছেলের জন্য,
                   তোমার ছেলেরা
                  তো হারিয়ে যায়নি
                তারা দেখো মা দাঁড়িয়ে
               আছে ঐ স্মৃতিসৌধ হয়ে
              তোমাকেই ভালবেসে ধন্য।
              দিয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশ,
             দিয়েছে লালসবুজের পতাকা,
          ওরা তো তোমারই বীর মুক্তি যোদ্ধা
         সন্তান। ওরা হারায় না মাগো, হারতে
        জানেনা, কেবল জানে যুদ্ধ করে জিততে।
       তাইত ওরা থাকবে বেঁচে ইতিহাসে লেখা
      হাজার গল্প আর কবিতায় আজীবন বোদ্ধা।
  তাই কেঁদোনা মাগো কেঁদোনা তুমি আর কোনদিন
  তোমার ছেলেরা জাগ্রত সদা শোধিতে তোমার ঋণ।


..................................................................


এ ব্যাপারে আলোচনা সভায় বিস্তারিত জানার জন্য আমার এই লিংক http://www.bangla-kobita.com/category/prokashona/  টি দেখার জন্য বিশেষ ভাবে আহ্বান করছি...