মনের মানুষটি যখন এ ভাবে বলে- “আমি যদি মরে যাই”!
এ কথা শোনা শেষ না হতেই কান্নার আগেই চোখে আসে জল।
যেন চোখ ঘেমে ওঠে ভয়ে। সাহস ধরে রাখতে আমি চোখের
আড়ালে হাসি দিয়ে মিলাই সে অসম ভয়। নইলে তখনও তো
কান্না বুকের মাঝে গুমরে মরছে অথচ চোখে জল ঝরছে টপ্‌টপ্‌
করে, এ কেমন কান্না।


মনের মানুষ যদি এমন করে বলে- “আমি আর বেশী দিন বাঁচব না”!
ও কথা শুনলে মনে হয় পৃথিবীতে কোন ডাক্তার নেই, ঔষুধ নেই,
পথ্য নেই। তাহলে আজীবন এই যে এত অর্থ, সোনা-দানা আর সম্পদের  
পেছনে ছুটে কি লাভ হল, কি কাজে আসল সবার সাথে এত ভালবাসায়
জীবন জড়িয়ে যে জীবন একদিন ফাঁকি দেবে বলেই ছিল এত কাছাকাছি।


যে চোখে এত স্বপ্ন ছিল, সে চোখে এখন আর চোখ রাখতে
পারছি না- স্বপ্নরা পুড়ে পুড়ে চোখে কালো ছায়া ফেলে গেছে বলে,
যে মুখে মায়া ভরা হাসি ছিল, সে হাসিতে এখন আর হারিয়ে যেতে
পারছি না- হাসিরা অজান্তে কান্নার সুরে সুর মিলিয়েছে বলে,
যে বুকে এত ভালবাসা ছিল, সে ভালবাসায় এখন আর ভাসতে
পারছি না- ভালবাসা অলক্ষে কষ্টের সাথে সন্ধি করেছে বলে।


তবুও স্বপ্ন চাই আমি, চাই মায়া ভরা নিষ্পাপ হাসি, আগের মতই
আজীবন চাই তোমার নিঃস্বার্থ ভালবাসা। জানি না কি ভাবে তুমি
বাঁচবে, কি ভাবে আমি মরার আগে তুমি বাঁচতে শিখবে, তোমাকে
আমার জন্য হলেও সে ভাবে বেঁচে থাকতেই হবে, আমাকে ছেড়ে
এ ভাবে চলে যাওয়ার কথা আর বল না।