আমি যতই আধুনিকতার আবেশে নওরোজ নিজেকে ভাসিয়ে দিই
শহুরিয়া বৈতালিক চাকচিক্যে, আমি যতই জেগে থাকি বাদুড়
জাগা রাত আর প্রকৃতির স্বাদকে উপেক্ষা করে প্রযুক্তির কাঠামোয়
নিজেকে বৈশ্বিক ভাবতে, তবুও আমি স্বপ্নের ভেতর এখনো খুঁজে
পাই আমার পুর্বপুরুষের হেঁটে যাওয়া ধানসিঁড়ি জনপদ, আমার
ছেলেবেলা কাটানো প্রাকৃতিক গন্ধে ভাসা সুন্দরী গ্রাম।


কেন এমন হয়? কি আছে গ্রামে! সেইত একটা নদী এঁকে বেঁকে
চলে যাওয়া উজান থেকে ভাটির দেশে, নদীতে পাল তোলা নৌকা,
পাড়ে ছোট্ট গ্রাম, খোলা উঠোনে অ আ, পুতুল খেলা, ঘাটে নারি
পুরুষের কোলাহল, জেলেদের জালে তরতাজা সুস্বাদু মাছ, লাল
শাপলা ফোটা দিঘীর জলে হাসের খেলা, নদীর ওপারে দূরে ছোট্ট
গ্রামের উপরে বটগাছের ফাঁক গলে দেখা সকাল অথবা বিকেলের
সূর্য, কিছু ছেঁড়া মেঘ এবং পাখীদের উড়া উড়ি ইত্যাদি।


অথচ শহরে? এখানে অনেক কিছু আছে! উঁচু উঁচু পাকা দালান,
নানা রঙ্গের আর ঢঙ্গের গাড়ি ঘোড়া, ধূলো কাদাহীন পাকা সড়ক,
রঙ্গিন সিনেমা, টেলিভিশন, সুন্দর সুন্দর নারি পুরুষ, এসির শীতল  
বাতাস, আতোশবাজির আকাশ, সকালের সূর্য উধাও মুখোশ পরিবেশ,
রাতে চাঁদহারা নিয়ন বাতির মাতামাতি, ফাস্ট ফুডের ঢাউস স্পেসে
নব্যশায়েরী আড্ডা, ফেবু, ইয়াহু, টুইটার, ভাইবার, ইউ-টিউব, স্কাইব,
ট্যাংগ সাথে কৃত্রিম রসেলা জ্যুস ম্যাংগো। তবুও মন প্রান যেন খাঁ খাঁ!