তুমি আসবে না জেনেও প্রতিদিন পথ চেয়ে বসে থাকি।
সে পথও বলে দিয়েছে তুমি আর ঘরে ফিরবে না। এ  
ভাবে চলে গেলে নাকি ঘরে ফেরা যায় না। তাই এখন
পথ- পথহারা হয়েছে পথের বাঁকে, যেখানে পথিক থাকে  
চির নিদ্রায় মাটির ঘরে কেবল। একা ভীষণ একা,
অন্ধকার শুধুই গাঢ় অন্ধকার, পথও তাই অশেষ অদৃশ্য।


তবুও আমি বসে থাকি। নিজেকে কতবার তোমার চলে যাওয়া
পথের মাঝে দাঁড় করাই। এত জানা শোনার পরও পথকে
আবার জিজ্ঞাস করি, বলি- তুমি বাড়ি ফেরার পথ ভুলে গেছো,
অন্ততঃ তোমাকে যেন আমার বুকে ফেরার পথটা দেখিয়ে দেয়
আর একটি বারের জন্য। কেননা এ বুকটা তো ছিল তোমার
খুব প্রিয়, বড্ড চেনা এর সকল আড়ং ঘর।


আমারই চেনা পথ এবার আমায় দিব্যি পথের কাঁটা ভাবে।
তাই তার পথের ধুলোয় আমার দৃষ্টি করে ঝাপসা, কান্না হয়ে
উঠে কুমোর কাদা, দৃষ্টি হারায় অযাচিত বৃষ্টিতে, বুকের মাঝে
অসুখ বাঁধে বাসা, পা থেমে যায় ফেরা উল্টো পথে। তখন
মনে হয় এবার আমিও হারিয়েছি পথ, আমিও ফিরছি তোমার
পথের শেষে।