রৌদ্র ঠুসি পড়া বাতাসে জেঁকে বসা শীতের নগ্ন সুঁই
যেন বিঁধছে শৈত্যের প্রবাহে। চাদর জড়ানো শরীর
কাঁপছে ঠান্ডায়। নাকে সর্দির জল, গলায় স্বর ধরা কাশি।
তবুও ভালো লাগছে শীতকাল।


কুয়াশা জড়ানো প্রকৃতির রুপ মুগ্ধতা না ছড়ালেও
নগ্ন প্রায় তোমার শরীর যেভাবে ঢেকেছে পরিচ্ছদে তা
সত্যিই অপূর্ব। অথচ অনেক খোলা মেলা সংস্কারে কেমন
বন্য লাগে তোমাকে। আর তাতে ভালবাসারা কেঁদে মরে
কামনার নোংড়া জলে!


তুমি যদি জানতে সে কথা অথবা মানতে তোমার রুপের
গোপন রহস্য, তাহলে ভালবাসা আর রুপের মুগ্ধতা ছড়াতে-
ব্যক্তির চেয়ে ব্যক্তিত্বকে করতে ওজন, নগ্নতার চেয়ে
গোপনীয়তাকে করতে আপন, নারীর চেয়েও নারীত্বকে
করতে মূল্যায়ন।


তখন সারা বছর শীত না গ্রীষ্ম, শরৎ না হেমন্ত,
বর্ষা না বসন্ত তা না ভেবে, কেবলই ভাবতে- তুমি কোন
নিষিদ্ধ নারীর পোষ্টার নও, তুমি প্লাষ্টিকের ফুল নও অথবা
ডিজিটাল কোন রোবট। বরং তুমি রক্ত মাংসের আরাধ্য নারী,
যার জন্য সদ্য ফোটা ফুলের থালা হাতে পুজারী দাঁড়ায়ে অপেক্ষায়।