মধ্যরাতে ঝোলা বারান্দায় এসে দাঁড়াই। রাতের শেষ
সিগারেটটা ধরাই। পরক্ষনেই খারাপ লাগে স্বাস্থীয় অনুতাপে।
ভাবি এ শেষ নেশাটুকু কি খুব দরকার ছিল? বিষাক্ত  
নিকোটিনের সাথে আগুন এসে খেলা করে, ভেতরের কয়লাটুকু
উস্কে দিয়ে তিলে তিলে নিঃশেষ করার ষড়যন্ত্রে।


ষড়যন্ত্র এ বড্ড জ্ঞাত ষড়যন্ত্র। তবুও পাতানো ফাঁদে জানতে
অথবা অজান্তে পা বাড়াই মধ্যরাতের ঝোলা বারান্দায়।
দেখি আঁধারে জ্বলে থাকা কিছু নেশাচরের জ্বলজ্বলে চোখ।
বেওয়ারিশ বেড়ালের চঞ্চল ছোটাছুটি। নিরাপত্তা প্রহরীর কড়া
নজরদারীতে বেওয়ারিশ কুকুরের ডাকও আজকাল আর শুনি না।


এখানে এখন দেশী কুকুরের জায়গায় বিদেশী কুকুরেরা
জায়গা করে নিয়েছে প্রভুর নিরাপদ কোল। আর কোল
ছাড়া হয়েছে মানব শিশু। তাই অভিভাবকের উদাসীন
খাপছাড়া আদরে বেড়ে উঠা শিশু, কৈশোর পেরিয়ে যৌবনে
হচ্ছে স্বার্থপর, হচ্ছে মানবতার মায়া বিবর্জিত আধুনিক
বেওয়ারিশ নাগরিক প্রায়।


তখন ভাবি শেষ সিগারেটের মত প্রতিদিন কত কিছুইতো
শেষ হচ্ছে লক্ষ্যে অথবা অলক্ষ্যে। কেউ বিচিত্র(!) ধরনের
নেশা করছে, কেউ নেশা ধরানোর জন্য চেষ্টা করছে, কেউ
নেশাটা ছাড়ার চেষ্টা করছে। আবার কেউ কেউ নেশায়
নেশায় শেষ হচ্ছে, কেউবা আবার নেশা বিক্রি করছে নেতৃত্তে।  
ষড়যন্ত্র এ বড্ড ষড়যন্ত্র- এমনকি হোক না সে নেশাটা
সিগারেটের।