শীত কী দমিয়ে রাখতে পারে জাতপাতকে,
অন্তবাস খোলা কামনার রাতকে!
আগুনহীন আগুনে উত্তাপ,
জড়তাহীন লজ্জার সংলাপ,
রাতও থাকে উৎকর্ণ স্তব্ধ,
তবুও থাকে কিছু শব্দহীন শব্দ।


এখন শুনছি দেয়াল ঘড়ির সেকেন্ডের কাঁটা,
ঘন্টা মিনিটের সাথে কেন্দ্রে আঁটা।
কে ঘুরালো ঘড়ির কাঁটা বাম থেকে ডানে,
যদিও তোয়াফ আদিতেই ডান থেকে বামে।


এমন ভাবনায় বাড়ে আরও উত্তেজনা,
তখন অন্তবাসহীন মুহুর্ত ভরে বিরাগ বেদনা।
সম্ভোগের রাত যদি কাটে বিতন্ডতায়,
কি অনাকাঙ্ক্ষিত কান্ডটাই
না ঘটে। কামনার প্রেম কাঁদে গুমরে,
দেহ চায় না যেতে কামসূত্রের সমরে,
ভেতরে তখন কষ্ট আর কষ্টের সুনামি,
ভাবি এতটা বসন্ত পেরিয়ে কি করেছি আমি!


কেবল ব্যর্থ ভালোবাসায় ভেবেছি নিজেকে দেবদাস,
অথচ কী ভাবে নিজেকে করেছি সর্বনাশ,
তা কেউ বলেনি- কী বর্ষা শরৎ হেমন্ত,
এমন কী কুয়াসাচ্ছন্দ শীত কিংবা ফুলেলা বসন্ত,
নিয়ত বাস্তবতার অবিচ্ছিন্ন সৃজনশীল মুখরতায়,
তাহলে বেহুদা পাগলামীতেও হয়ত বাঁচতাম
অনন্য কোন কবিতায়।