আচ্ছা তোর কি একটিবারের জন্যও মন পুড়ে না আমার কথা মনে করে- কেমন  আছি আমি। কোথায় আছি, কি করছি, কি ভাবে আছি, অথবা কোন অসুখ নিয়ে ডাক্তার আর ঔষুধের সাথে নিত্য করছি বুঝাপড়া। কি খাচ্ছি, কি পরছি, তোকে ছাড়া কি ভাবে কেটে যাচ্ছে বিরহ বর্ষা, বসন্ত আর বলগাহীন বয়সী শীত।


সঙ্গহীন কোন একটি বিকেল উদাসী হোক যে কখনও চাইত না, সময়ের বিছানায় বিপরীত মুখো একটি রাতের সুখের গল্প যে কখনও ভাবতেও পারত না, প্রিয়  মানুষটির কেবল কায়া নয়, ছায়াও যেন না হারায় একটি মুহুর্তের জন্যও যে সইতে  পারতো না। সেই তাকে কেমন করে ভুলে গেলি, কেমন করে ভুলেই বা থাকছিস্‌ এতটা কাল।


আচ্ছা এখনও কি তুই রাত জাগিস ভালবাসার কবিতার বই খুলে, এখনও কি তুই জ্যোৎস্না রাতে খোলা মাঠ ভেঙ্গে হারিয়ে যাস জোনাকীর আলো গায়ে মেখে। এখনও কি উদাস দুপুরে ঘুঘু’র ডাকে মগ্ন থাকিস জীবনের সঙ্গীত নিয়ে সপ্তক আর লয়ের  অনুশীলনে, আজও কি শরীর ছম্‌ছম্‌ করা ঘন অন্ধকার ভূতুড়ে রাতে শ্মশান ঘাটে বসে থাকিস শকুনী কান্না শুনতে?


সবুজ রঙ তোর বড্ড প্রিয় ছিল। এখনও কি ঘাস ফুলের শিশির মাড়িয়ে হেঁটে যাস প্রকৃতির কাছে কচি ধান গাছের সবুজ ছুঁয়ে দেখবি বলে, বর্ষায় কদম ফুলের গন্ধে এখনও কি আষঢ়  রাত প্রেয়সী ভাবনায় তোকে উত্তেজিত করে, এখনও কি নাওয়া খাওয়া ভুলে দাবার গুটি নিয়ে ভাবিস কিস্তিমাতের রহস্য রচনায়?


তোর জীবনের কিস্তি কোন নদীর জল ছুঁয়ে উজান ভাটি বইছে জানি না। কিন্তু তোর জন্য মন পুড়ে, একটিবারও ভুলতে পারি না। তাই মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে জানতে আমার মত করে না হলেও এতটা বিরহে একটিবারও কি মনে পড়েনি আমার কথা- আমি কেমন আছি!