মুখপুড়া সন্ধ্যার কাছে করজোড়ে করি মিনতি
আমার মন পুড়ছে যে যন্ত্রনার উত্তাপে,
বুঝি না কেন তার ছলা-কলা কোন মতিগতি
ভেতরে ভেতরে হচ্ছে ক্ষরণ কার পাপে।


পাড় ভাঙ্গা নদীর ভাটির জলে ডুবিয়ে রাখি দু‘পা
খুঁজে বেড়াই বাপের ভিটার শেষ অস্তিত্ব,
চাই না টাকা পয়সা, সোনা চান্দি কিংবা রুপা
আমি ফিরে পেতে চাই আমার ঠিকানা সমস্ত।


বোবা রাতের বুক চিরে শুনি অচেনা পড়শি কান্না
চাঁদের আলো  গলে গলে যায় কোন চরে,
আমার চোখে ঘুম আসে না শুধুই যে জলের বন্যা
চোখের কূল কেবলই ভাঙ্গে, কূল নাহি গড়ে।


তবুও দ্বার খুলে বসে থাকি নতুন সকালের আশায়
সুর্য হারালেও জানি উঠবে আবার প্রভাতে,
জানি একদিন তুমি ফিরে আসবেই আমার নেশায়
শুন্যতা ভরে দিতে রাখবে হাত এই হাতে।