রানি মহল  রাজা মহল
মধ্যে বিঘা দুই,
এর মাঝে গোপন সড়ক
নীল চাষের ভুঁই।


রাজা মহলে রাজা বিষন্ন
নিয়ে চাঁড়ালের রাজত্ব,
রানি মহলে রানি থাকেন
সখিদের সাথে মত্ত।


অন্দর মহলের বালাখানায়
পূজাহ্নিকের ঘন্টা ফুঁসে,
তান্ত্রিকতার মন্ত্র মায়ায়
রাজা থাকেন রানির বশে।


রাজা মহলের সদর ঘেঁষে
সেনা দূর্গ ঘেরা মাঠ,
তার ওপারেই দিচ্ছে উঁকি
বড়াল নদীর উপল ঘাট।  


বজরা বাঁধা নদীর ঘাটে
পাইক পেয়াদার গর্জন,
বনিক বসা পানসি নৌকায়
দিচ্ছে রাজা দর্শন।


কাছারিতে হচ্ছে আদায়
প্রজার বকেয়া খাজনা,
ব্যত্যয়ে কারও ঝুলছে মাথা
বাজছে বিউগল বাজনা।


রানি মহলের অন্দর কোঠায়
রন্ধন শালার সূপকার,
ব্যাস্ত রাতের ব্যাঞ্জনাতে
রাজা-রানি করবে আহার।


রাজ অতিথি থাকবে সাথে
নৃত্য মঞ্চে তৈরি নটী,
সুরার পাত্র সরাই হাতে
ব্যাস্ত সাকি মস্ত পরিপাটি।


পেছন  প্রাসাদের চৌহদ্দিতে
রানির পর্দা পদ্ম পুকুর,
প্রত্যুষে উঠে ক্লান্তি মোছেন
ছিটিয়ে গায়ে জলের নুপুর।


এমনই করে সময় হারায়
কি যেন কি কালের অভাব,
রাজার রাজত্ব হঠাৎ উধাও
কোন বিরহের হিংস্র প্রভাব ।


এখন সেই মহলের অন্তপুরে
শুনি অশরীর আনাগোনা,
কোথাও নুপুরের কিঙ্কিণী সুর
পায়ের আওয়াজ যাচ্ছে শোনা।


নিত্য নতুন অশরীরী আর
ভূত পেরতের কাহিনী,  
বছর বছর হচ্ছে চাউড়
কোনটা সত্য কি জানি?


যেখানেই আছে জমিদার বাড়ি
কিংবা বাড়ি রাজার,
সেখানেই কত রুপকাহিনী
জমছে মজার মজার।


এর পেছনে এই কি সত্য
কবি গুরুর ‘ক্ষুধিত পাষাণ’
গভীর ভাবে দিচ্ছে নাড়া
কৌতুহলী বাঙ্গালির প্রান!