কখনও ভাবি মহাশূন্যের কোন কৃত্রিম অক্ষে নিজেকে বসিয়ে দিই
ভাসমান যন্ত্র যানে। আর আমি তাতে রক্ষিত অবস্থান নির্মান যন্ত্রের
সাহায্যে খুঁজি তোমার শেষ অবস্থান এবং অস্তিত্ব।


সেই ছোট্ট একটি চিঠি। চিঠিতো নয় যেন এখন হয়েছে এক টুকরো
দলীল ইতিহাসের। তাতে আমাকে নিয়ে লেখা তোমার ভালবাসার কথা
আর শেষ চুম্বনে ভরিয়ে দিতে দিতে লিখেছিলে তোমার ছোট্ট নাম- মেরী।


এ দিয়ে কি আর তোমাকে খুঁজে বের করা যায়? তাই ফেবু’তে, ইউটিউবে,
টিউটে, লিংক্ট্‌ইনে- এমন অনেক অধুনা মাধ্যমে  খুঁজেছি তোমায় যদি
একটিবার ভেসে উঠে তোমার সে মায়া ভরা মুখ- মেরী।


মেরী – এই নাম দিয়ে আলোর পাতায় যত ছবি ভেসে উঠে তার সাথে
তোমাকে দেখা আমার মনের পর্দায় সেঁটে থাকা মেরী’র কোন মিল খুঁজে
পাই না। কি জানি- তুমি হয়ত অনেক বদলে গেছ, নিজ মাতৃভূমি ছেড়ে
গড়েছ আবাস ভিন্ন কোন জনপদে।  


কিন্তু আমার অস্তিত্বের জনপদ তো একটাই
আমার ভাল লাগা অভিন্ন আবাস তো একটাই
আমার ভালবাসার নিরহঙ্কার মন তো একটাই
আমার স্মৃতির পাতায় সাদা-কালো ছবি একটাই
শত শত মুখ তবুও মুখ যেন একটাই
শত শত নাম তবুও নাম যেন একটাই  


আমার মত তুমিও কি খুঁজো আমায়
আমার মত তুমিও কি উদাস থাকো নির্জন রাতের আকাশে
আমার মত তুমিও কি আলোর পাতায় খুঁজো আমার মুখ


এ কেমন আনমনা থাকা নিজের মধ্যে
এ কেমন ভালোবাসা অজানার সাথে
এ কেমন পথ চাওয়া ভাসমান যানে বসিয়ে
এ কেমন অস্তিত্ব খোঁজা কারও নাম ধরে
এ কেমন আনমনা থাকা নিজের মধ্যে


আমি কৃত্রিম অকৃত্রিম যে যান চক্রেই থাকি না কেন পৃথিবী পৃষ্ঠে,  
তবে এতটুকু জেনো আজীবন আমার ভালোবাসা, আমার অস্তিত্ব
আর ঠিকানা একটাই- সে আমার অহংকারের বাংলাদেশ।