পাথুরে ঘুম ধরে দু’চোখ ভরে
দেখি চিবুকে বালিশের দাগ,
তখনও তন্দ্রায় আচ্ছন্ন আমি
অবসাদে শরীর সকালের পুরোভাগ।


মনে মনে আমি শরীরকে বলি
তোমার আর এক নাম মহাশয়,
তুমি নাকি তাই সব কিছু পার
সহাতে পারলে যাহা কিছু সয়।


এমন উদ্দীপনাতেই হয়েছিল শুরু
আমার জীবনে প্রথম কার্যধাপ,
সেই থেকে আজও আমি ছুটে চলেছি
তেতুলিয়া থেকে প্রত্যন্ত টকনাফ।


কখনও দেশে কখনও বিদেশে
কারখানায় কিংবা কবিতার আড্ডায়,
কখনও দিল্লী কখনও হিল্লি হংকং
সাভার বারিধারা কিংবা উত্তরা বাড্ডায়।


ছুটছি কাওরান বাজার কাঁচা বাজার
মার্কেট বসুন্ধরা কিংবা কচুক্ষেত,
ব্যাংক বীমা আদালত ডাক্তারখানা
দেখছি মানুষ গরু ছাগল ভূত-প্রেত।


বেশ সয়ে যাচ্ছে কষ্টগুলো প্রতিদিন
তবুও ঘুমটাই যেন থাকছে অপূর্ণ,
পাথুরে ঘুমে আর সরে কি বুকের পাথর
সুখের আঘাতে অভাব যদি না হয় চূর্ণ।