‘পোশাক শিল্পে ঈদের ভাবনা’- এ নামে গত ১৭ জুলাই ’১৫ ফেবু তে একটা রচনায় এ কবিতাটা ‘নারী ও পোশাক শিল্প’ রচনার শেষের দিকে দিয়েছিলাম। এবার সেটিই আমার কবি বন্ধুদের জন্য কবিতার পাতায় দিলাম। আশা করি ভাল লাগবে...
.................................................................................


আছে বুকের মধ্যে ভালবাসার সবুজ জমিন
আছে এক বহতা নদী,
এ নদীর কূল ভাঙ্গে না, হারায় না তার কূল
বাঁধ ভাঙ্গা তীব্র ঢল হঠাৎ করে আসেও যদি।


কেবল একটুখানি অবলা জল উছলে পড়ে তার
কাজল কালো চোখে,
হোক সে জল শোকের জন্য কিংবা কোন সুখের
তবুও নদী আপন করে জমিটুকু আঁকড়ে থাকে।


তাইত দেখি পোশাক শিল্পের ব্যস্ত এক নারী
সারাটা দিন কাজের শেষে,
কুড়িয়ে নেয় রাস্তায় ঝরা সন্ধ্যাবেলার বকুল ফুল
আনমনে তার আঁচল ভরে কাউকে ভালোবেসে।


এসি গাড়ির জানালা গলে অপলক দেখি আমি
সেই সে নারীর মুখ,
উজ্জ্বলতার মিষ্টি কোমল আভায় যাচ্ছে ভেসে
দুধেল শিহরণে তার দুলছে উতল নরম বুক।


থাকে যদি ভালবাসার জমিন তার বুকটি চিরে
ছোট্ট একটা জলের নদী,
সেথায় কভু গড়ে না টংঘর, নাব্যতাহীন নষ্ট চর
দুঃখ সুখের নাগরদোলায় মন যে দোলে নিরবোধী।  


পোশাক শিল্পের ব্যস্ত নারী সহজে তাই ভুলতে পারে
ঘরে ছাড়া দুগ্ধ পোশ্য শিশু,
ভাবে তার সন্তানও আছে দেশের উন্নয়নের ধারায়
যতই ছিঁড়ে ছিঁড়ুক না তার গ্রাম্য টানে নাড়ির টিস্যু।


সেই বুকের ভালোবাসা আজ আংগুলের ডগায় শিল্প হয়ে
নিত্য বুনে পোশাক জমিন,
নারীরা তাই দিনে দিনে বেকার থেকে হচ্ছে এখন
পুরুষতন্ত্রের অত্যাচারের শেকল থেকে মুক্ত স্বাধীন।