*
ভূতের সাথে দোস্তি ক'রে রাত্রি আমার কাটে
দিনেরবেলা ঘুমোই আমি শেওড়া কাঠের খাটে।
খাদ্য পোশাক ওরাই জোগায়
বিনিময়ে কিছুই না চায়
আসবে ওরা আমার কাছে সুয্যি গেলে পাটে
বইগুলোকে পাঠাই আমি সোদরবনের লাটে।
ওদের মনে দুঃখ বড় যায় না কেহ কাছে
দিনেরবেলা লুকিয়ে থাকে ঝিলের পাড়ে গাছে।
আমায় ওদের পছন্দ খুব
একটা রাতও মারি না ডুব
মন জুগিয়ে চলি আমি বিরক্ত হয় পাছে
বোষ্টুমীটার সাথে আমার জবর পিরিত আছে।
খেতে যখন ইচ্ছে করে ডেকেই ওদের বলি
সাথে সাথেই পৌঁছে যাবে,এসেই বলে 'চলি'।
এত খাবার কোনটা খাবো
বদহজমে স্বর্গে যাবো
অল্প খেয়ে ঢেকুর তুলি, দেখে কৃষ্ণকলি
সুড়ুৎ ক'রে করল প্রবেশ, চেনে মনের গলি।
'চোদ্দো তারিখ ভ্যালেন্টাইন বলল কানে কানে
কী দিবি বল সেদিন আমায় কেউ যেন না জানে।
কী দেবো তা আমিই জানি
করবি না তুই কানাকানি
মেছুনি ভূত আসবে এবার গভীর প্রেমের টানে
ওর চরেরা ঘুরে বেড়ায় পাড়াতে সবখানে।
জানি আমি ঝোঁক আছে তোর নতুন মোবাইলে
খুশিতে মন উঠবে নেচে ওটাই তোরে দিলে।
যখনতখন কইবি কথা
লাঘব হবে মনের ব্যথা
সাবধানে তুই রাখবি ওটা নেয় না যেন চিলে
মামদো ভূতের পোষ্যগুলো ওড়ে আকাশ নীলে।
বোষ্টুমী তো বেজায় খুশি এই উপহার পেয়ে
কালো বরন মুখখানি তার খুশিতে যায় ছেয়ে।
একটা চুমু দিল গালে
জড়ায় প্রিয়া প্রেমের জালে
স্বপ্ন আমার পূরণ হ'লো ও'যে দারুণ মেয়ে
'তুমি আমার চিরদিনের' উঠি এ' গান গেয়ে।
© অজিত কুমার কর