আসল তো সুখ
অজিত কুমার কর


আকাশের মুখ ভার ভ্যাপসা গরম
শরৎ করেনি দেরি দরদি পরম।
দুঃখ কেবল তার চারিদিকে জল
যদিও ফুটেছে কাশ, ফুটেছে কমল।


জোটেনি নতুন জামা বিলু পল্টুর
পুরোনোটা কম কীসে হাসি সুমধুর।
পথের ওপারে থাকে অনামিকা দাস
কুড়ি খানা ফ্রক তার বাংলোতে বাস।


গাড়িতেই ঘোরাঘুরি আয়েশ দেদার
হাঁটে না কখনো পথে বিলাসী আহার।
বিলুর উঠোনে ফোটে জুঁই কাঞ্চন
দোপাটি-রজনী-বেল অমূল্য ধন।


পল্টুটা খুবই ছোট সবে এই ছয়
দাদার মতন সেও মোটে ভীতু নয়।
কুড়িয়ে পেয়েছে ঘুড়ি দুজনে ওড়ায়
খায় না একেলা কিছু  ভাগ করে খায়।


পুজোর বাজনা বাজে মহা উৎসব
মা'র সাথে ঘোরে ওরা শোনে কলরব।
দুজনার হাতে দেয় দুখানা পাঁপর
ওতেই বেজায় খুশি মাখানো আদর।


দুঃখ বাঁধে না বাসা সদা হাসিমুখ
বিলাসিতা কিছু নয় আসল তো সুখ।
মায়ের বানানো নাড়ু দশমিতে ভোজ
ওদের কেমন কাটে কেবা রাখে খোঁজ।