বয়স কেন এগিয়ে চলে
ঘড়ির কাঁটার সাথে
শৈশবের সব স্নিগ্ধতা যায় ঢেকে।
মায়ের মুখে শুনতে পেতাম
পরির গল্প রাতে
জাগিয়ে দিত প্রত্যুষে রোজ ডেকে।
চাইনা আমি বড় হতে
বিড়ম্বনাই বাড়ে ওতে
বেশ তো ছিলেম কেন এমন হলো,
মায়ের সাথে ঘোরাঘুরি
বোনের সাথে লুকোচুরি
ভাগাভাগি মায়ের কোমল কোলও।


একঘেয়েমি কর্মকাণ্ড
পছন্দ নয় মোটে
যাচ্ছি করে তবুও তা আমি,
করি ওসব বাধ্য হয়ে
ওতেই অন্ন জোটে
মনের কথা জানে তো গোস্বামী।
এখন শুধু হিসেব কষি
ফুরিয়ে যায় তাতেই মসি
কেমন যেন লাগছে ফাঁকা ফাঁকা,
অদৃশ্য এক পাঁচিল ঘিরে
দেখে না কেউ পিছু ফিরে
ভুবনডাঙার মতোই শূন্য খাঁখাঁ।


শৈশবে বেশ কাটতো ভালো
খেলা কেবল খেলা
কত স্বপ্ন তখন দুচোখ জুড়ে,
এদিক-ওদিক ঘুরেফিরে
কাটতো আমার বেলা
এক নিমেষে হারিয়ে যেতাম উড়ে।
বাবার ধমক চোখরাঙানি
মলিন হতো বদনখানি
একটু পরে মায়ের চুমা গালে,
ব্যথা কি আর তখন থাকে
দৌড়ে যেতাম পাখির ডাকে
আম জাম আর বৈঁচিগাছের ডালে।


জমা খরচ হিসেবনিকেশ
বুঝি না এক কণা
নিত্যদিনের কর্ম তবু ওটা,
সবার মতো যাচ্ছি করে
অসার বিবেচনা
পুষ্প ঝরে সাথে মলিন বোঁটা।
চাইলে কি আর পেতে পারি
কঠোর নিয়ম আছে জারি
সকল জীবন যাবেই যাবে থেমে,
ঠোঁটের কোণে মলিন হাসি
হৃদয়জুড়ে বিষাদ রাশি
পরিশেষে আঁধার আসে নেমে।