চৈতালি এক পুর্ণিমাতে আবির্ভূতা রোশেনারা
মর্তে এ যে দেবীশিশু, মাতাপিতা আত্মহারা।
পৌঁছে গেল এই বারতা রাজার কানে যথারীতি
‘অন্নপূর্ণা’ নামে কন্যা বিশ্বে পাবে পরিচিতি।


জগৎখ্যাত পিতার মতো রোশেনারাও গুণবতী
সুরবাহারের ঝংকৃত সুর মনোগ্রাহী মিষ্ট অতি।
কোমল করের স্পর্শে যখন উঠতো ভেসে মধুর ধ্বনি
অবাক হ’তো রসিক শ্রোতা হাতের জাদু তাঁর এমনি।


সুখ্যাতি তাঁর অনেক বেশি সমকালীন যন্ত্রী থেকে
পুরুষতান্ত্রিক এই সমাজে, নারী দেবে গর্ব ঢেকে!
জীবনযুদ্ধে টানাপোড়েন প্রীতির বাঁধন গেল ছিঁড়ে
ভগ্নহৃদয়, অনন্যোপায়, ফিরল পাখি আপন নীড়ে।


কৃচ্ছ্রসাধন সারাজীবন সুরের সাধন অন্তরালে
আত্মপ্রকাশ ঘটেনি তাঁর আর কখনো জীবৎকালে।
মাত্র ক’জন সৌভাগ্যবান আশাহত লক্ষ শ্রোতা
ভাঙেনি তার সুদৃঢ় পণ, আত্মসাথে সুসমঝোতা।


ফুলের সুবাস হাওয়ায় মেশে পারে না কেউ ঢেকে দিতে
চৌরাসিয়া, বাহাদুর খাঁ, নিখিল গেল তালিম নিতে।
খ্যাতকীর্তি গুরুর শিষ্য, সুনাম এদের বিশ্বজোড়া
শ্রীচরণে অঞ্জলি দেয় রোজই এরা ফুলের তোড়া।


(ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ-এর কন্যা, রবিশঙ্কর-এর প্রথম স্ত্রী)