*
বসন্তে আজ মহুল বনে
অজিত কুমার কর
ফাল্গুনের দক্ষিণা পবনে
কী হিল্লোল আজি এ কাননে
সজোরে মাদল বাজে পুষ্পলতা অঙ্গ সাজে
উর্বশীরা সুদৃশ্য বসনে।
কবরীতে আকন্দমালিকা
ভালে শোভে পলাশের টিকা
তালে তালে অঙ্গ দোলে বনানীর স্নিগ্ধ কোলে
যৌবনের দৃপ্ত অহমিকা।
মধুমাখা এমন সন্ধ্যায়
অনুরাগে মল বেজে যায়
বাঁশিতে মোহিনী ধুন কে বাজায় সুনিপুণ
রূপসিরা চকিতে তাকায়।
উত্তাল তরঙ্গ ওঠে গাঙে
অরণ্যের নিরবতা ভাঙে
প্রতিধ্বনি' আসে ভেসে কায়াহীন ছদ্মবেশে
গোধূলির রঙে ঠোঁট রাঙে।
ক্ষীণ কটি তৃতীয়ার শশী
তবুও সে অনন্যা উর্বশী
জোনাকিরা জ্বালে বাতি ঘনাল আঁধার রাতি
জ্বলে ওঠে জোড়া জোড়া অসি।
সুরভিত অরণ্য সমীর
কচিপাতা চঞ্চল অস্থির
পড়ে না আনন্দে ভাটা পথে আর নেই কাঁটা
সহাস্যবদনে হানে তির।
দীপশিখা নিভিল এবার
গ্রাস করে নিকষ আঁধার
নক্ষত্রের হাসি রাশি থামে না তবুও বাঁশি
'কাছে আয়', প্রেয়সি আমার।
বিধুমুখী গেল অস্তাচলে
জোনাকিরা নিভে আর জ্বলে
তমসাও মানে হার নয়নে প্রদীপ্তি কার
নীরবতা ললনার মলে।