ভেবে কী আনন্দ
অজিত কুমার কর


ঘড়িমোড় থেকে সোজাসুজি পুবে আর কিছু দূর গিয়ে
পথ চলে গেছে চাঁচিয়াড়া গ্রামে মাঠটাকে টপকিয়ে।
মোড়ের মুখেই ঘোড়াইবাবুর তিনতলা পাকাবাড়ি
নীচের তলায় খাবার দোকান পাশে তার মণিহারি।
সাজানো রয়েছে শো-কেশে যতনে খাজা গজা কালাকাঁদ
খরিদ্দারের চাহিদা মেটাতে সদা রত কালাচাঁদ।
হাত দুটি তাঁর দ্রুতবেগে চলে কথা বলে তাল রেখে
আসুন, আসুন পরখ করুন এক পিস শুধু চেখে।


মোড়ের পরেই ঘুড়ির দোকান দশ পয়সাতে মেলে
দশ পয়সাতে এককাপ চা-ও বাড়াবে খুরিতে ঢেলে। ​
ভাদ্র মাসের শেষ হতে আর হপ্তাখাানেক বাকি
আমি আর দিদি কী করে এখন চুপ করে বসে থাকি?
বারবার ছুটি ঘুড়ির দোকানে মুখে পুরি এটা-ওটা
দুখানা ঘুড়ি ও লাটাই কিনেই হাসিমুখে গৃহে ছোটা।
তিন দিন ছুটি উপর্যুপরি তাই মেলে ফুরসত
ভাইবোনে ছুটি সামনের মাঠে ঘুড়ি ওড়ে পতপত।


দিদির ঘুড়িটা যেই কেটে গেল মাথা গুজে পড়ে গাছে
মাঠ থেকে দূরে পাড়ার প্রান্তে দেখি ওটা ঝুলে আছে।
আমার ঘুড়িটা কাটল যেদিন পড়ে রানাদের ছাদে
পুটুসোনা ওর দখলে পেয়েই হেসে ওঠে আহ্লাদে।
কতদিন ভাবি একটাও ঘুড়ি আসে না কেন যে হাতে
সেদিন হঠাৎ ভাগ্যে জুটলো সুতো ছিল ঢের তাতে।
কেনার চেয়েও কাটা-ঘুড়ি পাওয়া কত বেশি সুখকর
কেমনে বোঝাবো খুশি যেন ঠিক পাহাড়িয়া নির্ঝর।


© অজিত কুমার কর