ভ্রমণ-বনভোজন
অজিত কুমার কর


ফুরিয়ে এল মাঘের রাতি  রাত পোহালেই চড়ুইভাতি
যেতে হবে অনেকটা পথ, মুকুটমণিপুর,
ডিলাক্স বাসে যাব সবাই গরম  পোশাক অবশ্য চাই
সেজেগুজে উঠছি এখন একশো কিমি দূর।


ঠিক আটকায় ছেড়েছে বাস  বইছে বেগে ঠান্ডা বাতাস
বাসের গতি কম মোটে নয় চিতার মতোই ধায়,
আমরা যত যাই এগিয়ে  পাল্লা দিয়ে যায় পিছিয়ে
ফুলভরা মাঠ, গাছগাছালি সমান দ্রুততায়।


সাড়ে দশটায় পৌঁছে গিয়ে  দুটো উনুন দেয় ধরিয়ে
সব সরঞ্জাম বাসেই ছিল চিন্তা কীসের আর,
মালতিদি, গোবর্ধনদা  ঝরনা মাসি  ও মোক্ষদা
কোমর বেঁধে লাগল কাজে শোনা যায় চিৎকার।


যে কজন না মাংস খাবে  কেবল তারাই ইলিশ পাবে
আলুভাজা ডাল হয়েছে, মিষ্টি মিঠা দই,
শালপাতাতেই হচ্ছে ভোজন  পড়বে পাতে মিষ্টি কখন
ওটার দিকেই নজর আমার করছি না হইচই।


ভাবিনি, পান আমায় দেবে  পাওনি যারা চেয়ে নেবে
তদারকি করছে একাই নমিতা নস্কর,
খাবার পরে নৌকাভ্রমণ  লাগছে না শীত এখন তেমন
দিগন্ত লাল দেখেই নামি ডাঙাতে পরপর।


© অজিত কুমার কর