জটলা কীসের, কে মরেছে, বাড়ল তবে ভুতনি দল
স্কন্ধকাটা বলল হেঁকে, ইলেকশনে জিতব ভাই
হাজারকয়েক প্রচারপত্র ছাপাতে দিই এবার চল।


মামদো বলে জিততে গেলে কয়েক ডজন পেতনি চাই
পাড়ায় পাড়ায় ঘুরবে ওরা, ভোটে এবার এই চমক
বাড়িয়ে দেবে কারণবারি, কোথায় গেলে ওসব পাই?


ব্রহ্মদত্যি দলের নেতা, দিলেন ওদের জোর ধমক
অত জোরে বলিস কেন, করবি না কেউ খবর ফাঁস
ওরা যদি জানতে পারে, বেহাত হবে গোপন ছক।


চালা এবার দেয়াললিখন নেইকো এখন অবকাশ
ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়ায় গেছোভূতের অনেক চর
আমাদের সব কার্যকলাপ প্রকাশ পেলে সর্বনাশ!


এই নিয়ে যা টাকার থলি, ভাঙতে হবে ওদের ঘর
মন রাঙাতে সাথে নিবি হরিণচোখি পেতনি ভূত
দেখবি কেমন ভিড়ছে দলে কাছে এলে জাপটে ধর।


আশাবাদী খুব আমি নই, রাখতে চাই না আদৌ খুঁত
রিগিং করার জন্য কিছু চুন্নি ভূতের প্রয়োজন
আর তো মাত্র পনের দিন পাঠাতে চাই দক্ষ দূত।


মিলবে কোথায় দিচ্ছি বলে, পাশের রাজ্য ধান্দামন
বছর বছর মেলা বসে, হাজার পেতনি হাজির হয়
এখনি ফোন করছি ওকে, জোগান দেবে বৃন্দাবন।


ওদের দলটা পৌঁছে গেলে কেটে যাবে সকল ভয়
‘গুরু তোমার বুদ্ধি এত!, চরণধূলি একটু দাও’
বুথে বুথে পাঠিয়ে দেবো খুব সহজে মিলবে জয়।


ব্রহ্মদত্যি করল হুকুম এবার কাজে বেরিয়ে যাও
তাড়াতাড়ি ফিরতে হবে, এটাও যেন রয় খেয়াল
আগাম ওদের দিতে হবে, এই টাকাটা বাড়তি নাও।


ভোটের লগন এগিয়ে এলো, ওদের তরি টালমাটাল
একাই একশো দলনেতা, চোখের আগায় সর্বদিক
‘ওরা তো সব চুনোপুঁটি, আমরা  হলাম শাল-বোয়াল।’


ভোটার যত, তার থেকেও ভোট পড়েছে অত্যধিক
ভোট হয়েছে শান্তিপূর্ণ, হয়নি কোথাও গণ্ডগোল
গেছোভূতের গো-হারান হার, দেখে কি রয় মেজাজ ঠিক!


ব্রহ্মদত্যির  জয়জয়কার বাজছে জোরে মাদল ঢোল
নীল আবিরে রঙিন সবাই, খেলছে যেন আগাম দোল!