বিরহে হৃদয় পোড়ে
অজিত কুমার কর


অব্যক্ত যন্ত্রণা যত হৃদয়কন্দরে রয়ে যায়
ঘটে না বহিঃপ্রকাশ প্রতিবন্ধকতা আগেপিছে
ধূপদানি নির্বিকার ধূপ নিজ অস্তিত্ব হারায়
শুধু ভস্ম ক্ষণে ক্ষণে ঝরে ঝরে জমা হয়  নীচে।


ভারসাম্যে পক্ষাঘাত পুঞ্জিভূত বেদনার চাপে
অকালে হারায় স্রোত, সৃষ্টি মরুভূমি-মরীচিকা
হাহাকার ধ্বনি ওঠে অর্যমার প্রচণ্ড উত্তাপে
নিশীথে সান্ত্বনা দেয় অত্যুজ্জ্বল নক্ষত্র কৃত্তিকা।


বিরহের কী যে জ্বালা বিরহী যে বোঝে শুধু একা
ঋতুচক্রে গ্রীষ্ম-বর্ষা-শরৎ-হেমন্ত ও বসন্ত
শীত গেল একে একে তবু মেলেনি প্রিয়ার দেখা
আকুলিব্যাকুলি চিত্ত সম্মুখে আঁধার আদিগন্ত।


বিটপী ও বনলতা, অরণ্য-বুকে সহাবস্থান
ক্লান্ত পরিশ্রান্ত মন দুদণ্ড কাটায় নীলাঞ্জনে
ক্ষণিকের পরিতৃপ্তি শান্তি পায় ব্যথাতুর প্রাণ
ত্বরিতে আবার জাগে অটবির নিস্পন্দ নির্জনে।

বনলতা সেন ছিল কবি জীবনানন্দ দাশের
দর্শনে বিলীন ব্যথা স্বস্তির নিশ্বাস তাঁর চিতে
বালুকাবেলায় বসে ঢেউ গুনে একা সাগরের
হাজির হবে কি প্রিয়া নীলাম্বরী পরে আচম্বিতে।


© অজিত কুমার কর