আর আসে না চড়াই পাখি আগে কেমন ক'রত খেলা
ওদের কিচিরমিচির শুনে আনন্দে বেশ কাটতো বেলা।
কোথায় ওরা হারিয়ে গেল নাকি গেছে অন্য দেশে
এদেশে বাস বিপজ্জনক, দেশত্যাগী পরিশেষে।


বইয়ের পাতায় মেলে এখন রঙিন চড়াই পাখির দেখা
বাবুই-চড়াই পাখি নিয়ে সেদিন কবির কাব্য লেখা।
চড়াই পাখি আসতো রোজই একটু খাবার ছড়িয়ে দিলে
খাওয়ার পরে ঝটরপটর যে যার জুড়ি দুজন মিলে।


এদের বাসা ঘরের ভিতরে বাবুই বানায় গাছের ডালে
কী বিচিত্র জীবনযাপন যে যার ঘরে অন্তরালে।
বাবুই পাখির বাসা দেখে প্রশ্ন জাগে শিশুর মনে
কেমন করে বানায় ওরা নিপুণভাবে সংগোপনে।


ঝড়বাদলে কষ্ট দারুণ দুর্ভাবনা তখন কতো
চড়াই থাকে আপন বাসায় ঘুলঘুলিতে রাজার মতো।
চড়াই গেছে বাবুই আছে হয়তো এরাও হারিয়ে যাবে
প্রেমিক যারা পাখপাখালির তারা ভীষণ কষ্ট পাবে।