পয়লা বৈশাখ একলা এবার ভয়ে গা ছমছম
সাতাশ ছিল এমনতরো এটা নয় প্রথম।
প্রতিবছর এমন দিনে সবার অবকাশ
এবারও সেই বিবর্ণ রূপ চৌদ্দোশো আটাশ!

হালখাতা নেই, মিষ্টি প্যাকেট, নতুন ক্যালেন্ডার
ভেবেছিলাম কদিন পরেই কাটবে অন্ধকার।
কৃষ্ণপক্ষের তৃতীয়া আজ সন্ধ্যা বিষাদময়
চাঁদ উঠেছে দা-এর মতো হয়নি পাপক্ষয়।


মাঠেই মারা গেল সবই কোথায় গেল সেল
নতুন জামার আশায় ছিলাম বড়ই বেয়াক্কেল।
একলা কারো ভালো লাগে, সকলেই বিরূপ
দিদিও আর খায় না চুমু খোলে না মুখ, চুপ।


ধরাছোঁয়ার বাইরে বাবা হাত ধরে না কেউ
সর্বদা মা ধরত এ হাত আসত যখন ঢেউ।
মা বলেছে আলদা শু'বি পাবি না আর কোল
কোলে শু'লে চুলকাবে কি, নয় মা বুনো ওল।


রাত্রে একা ঘুম আসে না গুনছি কড়িকাঠ
ঘুমের ঘোরে পেরোই আমি তেপান্তরের মাঠ।
পাঠশালা নেই পড়ছি ঘরে খেলার সাথি কই
এক্কাদোক্কা খেলি একাই করি না হইচই।


মোবাইলে অঙ্ক পাঠায় কেবল যোগ-বিয়োগ
নামতা আমি ভালোই জানি গুণ মানে তো যোগ।
বাবা এখন যায় না অফিস ঘরে বসেই কাজ
আনাজ কাটে, বাসন মাজে বারমুডা তাঁর সাজ।


আমার বাসন মাজি আমি গাছেও দেই জল
দিদির কাছে আঁকা শিখি রং দিলে ঝলমল।
পড়ছি রোজই সবকটা বই পরীক্ষা নেই পাস
জানি না স্কুল খুলবে কবে কাটল বছর মাস।