গভীর রাতে জলসা
অজিত কুমার কর


চতুর্দশী রাত্রি তখন নিকষ কালো অন্ধকার
পুবের জানলা ছিল খোলা পেঁচা-পেঁচির কী চিৎকার!
জবা গাছের তলায় হুলো হুলিকে দেয় এমন ডাক
ঘুমের ঘোরে ছানাসহ চমকে ওঠে বাসার কাক।


অনেক খাদে আলাপ শুরু জমে ওঠে বেশ খেয়াল
আরোহতে লাগল তালা অবরোহে হই নাকাল।
বাগেশ্রী বা ভীমপলশ্রী আশাবরী বা ইমন
ঝুলিতে যে কী নেই ওদের গাইছে ওরা বেশ দুজন।


পেঁচারাও শুনছে বসে মাঝে মাঝে দিচ্ছে দম
ওদের দেখে উৎসাহিত কারও গলা নয়কো কম।
রেহাই পাবার উপায় খুঁজি কিন্তু ওদের কী বা দোষ
কষ্ট হলেও সহ্য করি ঠান্ডা করি আপন রোষ।


বকবকানি বন্ধ প্যাঁচার গানের মজা লুটছে বেশ
যখন ওরা উড়ান দেবে হয়তো তখন কমবে ক্লেশ।
ঠিক তখনই উড়ল পেঁচা হুলো-হুলি পগার পার
ঘুমের দেশে পাড়ি জমাই ঝংকৃত হয় নাক-সেতার।