হেমন্তিকার স্নিগ্ধ পরশ
অজিত কুমার কর


হেমন্তে পাই হিমের পরশ শিশির ঝরে রাতে
ঘাসের উপর শিউলিরাশি ঝকমকে প্রভাতে।
হেমন্তকে ভালোবেসে আসবে উমা বঙ্গদেশে
মহানন্দে উঠবে মেতে রইবে না কেউ ঘরে
আজ এখানে কাল ওখানে কোথায় যাবে ওরাই জানে
একাকী নয় থাকবে সাথি যেজন সুনজরে।


বছর বছর এই সময়ে মেলে কদিন ছুটি
কেউ চলে যায় লেহ্-লাদাখে কেউ মাদুরাই উটি।
দিগন্ত ছোঁয় শ্যামলিমা এই প্রকৃতির কী মহিমা
দিঘির বুকে শাপলা-শালুক ঢেউ খেলে কাশবনে
ছাতিম-গন্ধে বাতাস ভারী সুগন্ধ পায় পথচারি
শ্লথ পায়ে হেঁটে বেড়াই বিকেলে আনমনে।


ঘরে ঘরে উঠোন 'পরে আকাশপ্রদীপ জ্বলে
ফুরিয়েছে সবেমাত্র গোধূলি ঝলমলে।
সবাই এখন গুনছে প্রহর মায়ের বোধন ছয়দিন পর
জল্পনা তাই তুঙ্গে এখন ভ্রমণসুচি নিয়ে,
কয়টা জামা কে পেয়েছে বলছে শিশু নেচে নেচে
জোটেনি যার নতুন পোশাক যাবে কী গা'য় দিয়ে?


সুখীর নাচন দুখির অভাব থাকুক পাশাপাশি
দারিদ্র্যকে গায়ে মেখেও ওদের মুখে হাসি।
বিদায় নিলে দশভুজা পূর্ণিমাতে লক্ষ্মীপূজা
ব্যথার কথা ভুলে গিয়ে আনন্দ নেয় লুটে
হলেও গা'য়ে ছেঁড়া জামা তবুও চলায় নেইকো থামা
মণ্ডপে মণ্ডপে ওরাও বেড়ায় কদিন ছুটে।


© অজিত কুমার কর