* ##অজিত কুমার কর##
প্রেমের যুগ্ম কবিতা
যেয়ো না রাই চলে
যেয়ো না রাই চলে
তুমি গেলে শূন্য ভুবন রবি অস্তাচলে।
আঁধার খাবে গিলে
একাকী রাত কাটবে আমার বেশ তো কাছে ছিলে।
বেজেই যাবে বাঁশি
রাই বিহনে শ্যামের মনে হতাশা একরাশি।
নূপুর গেছে খুলে
এসো এসো পরিয়ে দেব, সাজিয়ে দেব ফুলে।
কী চাও আমি জানি
সাজিতে জুঁই চাঁপা আছে, গোলাপ ফুলের রানি।
পুব গগনে শশী
জোছনাতে ভরবে ভুবন আজ যে চতুর্দশী।
চন্দ্রমা-চকোরে
মহামিলন আজ নিশীথে দেখব নয়নভরে।
তৃপ্ত জ্যোৎস্না মেখে
মেঘবলাকা পাখনা দিয়ে শ্রীমুখ দিল ঢেকে।
############################
##ফুলে পাতায় তোমার শ্রীমুখ##
তোমাকে তো ভোলা যাবে না কখনো খোদাই করেছি মনে
বিটপীর মতো রেখেছিলে ঢেকে ঝঞ্ঝায় বরিষণে।
আনাচেকানাচে যেথা চোখ যায়
তোমার পরশ গাছের পাতায়
ফুল ফোটে রোজ হাসে না তেমন দেখি আমি আনমনে।
র'ব যতদিন ধরণির বুকে বাঁধন যাবে না ছিঁড়ে
তারপর আমি ঠিক খুঁজে নেব শত তারকার ভিড়ে।
হৃদয়ের সাথে হৃদয়ের যোগ
প্রবেশ করে না চিহ্ন বিয়োগ
কোথা যাবে তুমি যেতে তো দেব না দুহাতে রাখব ঘিরে।
কখন কী করি সব তুমি দেখ ঠিকঠাক করি কিনা
তুমি পাশে নাই দুঃখ এটাই বাজে না তোমার বীণা।
চেয়ে থাকি রোজ আকাশের পানে
প্রজাপতি ওড়ে তোমার বাগানে
ওরা ডেকে বলে, এদিকে তাকাও ফুল ফোটে জল বিনা?
ওর কথাতেই সম্বিৎ ফেরে ছুটে যাই ঝারি হাতে
আগাছা উপাড়ি সিনান করাই যত গাছ আঙিনাতে।
ফুলে ফুলে ভাসে তোমার শ্রীমুখ
ওরা তো কখনো করেনি বিমুখ
জবা-জুঁই-বেল ফুটে আছে কত শেফালিকা ঝরে প্রাতে।
*******************************