দিদির ঠেলায় পৌষের শীতে
ভাঙল ভোরে ঘুম
পুব-জানালার ফোকর গলে
কপোলে কার চুম!
এ তো দেখি সুয্যিমামা
কেমন হাসিমুখ
প্রভাতবেলা পাখির ডাকে
চিত্তে বড়ই সুখ।
ঝলমলানো রবির আলোয়
আর কি শুয়ে রই
কোথাও খুঁজে পাচ্ছি না তো
ছোড়দি গেল কই।
ওই তো দিদি কাঠ জ্বালিয়ে
সেঁকছে কেমন গা
বসি আমি গা-টি ঘেঁসে
কাঁপছে হাত ও পা।
মাম্মি ডাকে ‘এবারে আয়
মুখ-হাত ধুয়ে নে
গরম গরম ঘুগনি লুচি
জলদি খেয়ে নে।’