*                কপিলমুনির আহ্বান


আমাদের প্রতি ওগো দয়াময় এতো করুণা তোমার
   বার্তাটি দিতে দুয়ারে হাজির প্রত্যুষে সুকুমার।
             পুবাকাশে রবি উঠেছে তখন
            জবার হাসিতে ভরে গেল মন
চরণে তোমার প্রণতি জানাতে খুলে দিয়ো প্রভু দ্বার।


   রজনী তখন হয়নি প্রভাত ভেঙেছে আমার ঘুম
                স্থলপথে হলো যাত্রা শুরু
               ঠান্ডা বাতাস বহে ফুরুফুরু
  ভাগীরথী দিয়ে স্টিমারে গমন সারাদিন রবি-চুম
    রাত সাতটায় বালুকাবেলায় প্রাঙ্গণে মহা ধুম।


   পাপ ধুয়ে যাবে সাগরের জলে তাই প্রশান্ত বুক
     দর্শন পাবো কপিলমুনির দূরীভূত হবে দুঃখ।
               চারিদিকে শুধু মানুষের ভিড়
               ছড়িয়ে-ছিটিয়ে অস্থায়ী নীড়
    পুণ্য লগ্ন অতি প্রত্যুষে জানাল শারি ও শুক।


    নিদ্রাবিহীন  কাটল রজনি এবার হয়েছে ভোর
               পুণ্যসিনান সাগর সলিলে
            লাখো নর-নারী একসাথে মিলে
পূজার অর্ঘ্য সকলের হাতে খুলেছে প্রভুর দোর
গঙ্গা মাতার অপার করুণা ঘনঘন ওঠে শোর।