ক্ষণপ্রভা ৪
নিঃসঙ্গতা
রাঙা হলো পলাশ শিমুল
কেমনে আমি একলা রই
ফাগুন গেল চৈত্র এল
শিঞ্জিনী কার বাজছে ওই।
------
লাবণ্যময়ী
নাম না জানা কে গো তুমি
একলা পথের পাশে
প্রথম দেখায় মন কেড়েছ
শুভ বোশেখ মাসে।
এখন আমি যাচ্ছি মাঠে
ফিরব বিকেল হলে
একটুখানি সবুর ক'রো
গেলাম তোমায় বলে।
লাজুকলতা লজ্জাবতী
মুখটি তুলে চাও
রোজ তোমারে সোহাগ করি
অযথা ভয় পাও।
আমিও যে তোমার মতো
অতি তুচ্ছ জীব
চোখের দেখা দেখার জন্য
আমি যে উদগ্রীব।
--------
দারিদ্র্য
পথের পাশে অবহেলায়
আমরা পড়ে থাকি
একটুখানি দাঁড়াও পাশে
অস্ফুটে তাই ডাকি।
অবহেলার পাত্র কি খুব
ভাল্লাগে না হাসি?
আমরা কিন্তু সকল জীবে
সমান ভালোবাসি।
-------
কাঞ্চন
এসেছে ফাগুন
ভ্রমরা গুনগুন
বেগুনি কাঞ্চন
ফুটেছে নতুন।
------
কুসংস্কার
নারীর সাথে নরের মিলন
কেন বাধানিষেধ তখন?
কুসংস্কার
এ কার হার
বুঝে গেছে সকল সুজন।
জানালাম অভিনন্দন
পল্লবিত হোক জীবন।
পলে পলে
ফুলে ফলে
ভরে দেবে সকলের মন।
-------
গুমরে মরে অন্তঃপুরে
এ কী দেখি বিশ্বজুড়ে।
-------
বালুকাবেলা
সীমাহীন সাগর
বিশাল চরাচর।
শুধু জল
ছলাৎছল
তীরে বানাই ঘর।
------
বসন্ত
রং ধরেছে ডালে ডালে
পলাশ শিমুল আগুন ঢালে।
কুহু কুহু
হৃদয় হুহু
কোকিল ডাকে সাত সকালে।
-----
অভিসার
অনুপম রজনি
এসেছে সজনি।
কত তারা
আত্মহারা
যেয়ো না এখনি।
© অজিত কুমার কর