মাণিক্য  ১১ - ২৫


পেতে পার বিশ্বভুবন এক লহমায় সংকেতে
তবে কেন দীনের মতো দাঁড়িয়ে আছ হাত পেতে।১১


অযথা হও কেন হতাশ অকূলেও মিলবে কূল
লোকের কথায় কান দিয়ো না দিলেই হবে মস্ত ভুল।১২


নিজের ওপর অনাস্থাভাব করছ কি তাই প্রার্থনা
হীনমনারা হাত পেতে চায় তুষ্ট পেলে এক কণা। ১৩


তাদের মতো কেউ সুখী নয় তুষ্ট যারা অল্পতে
কাজের মধ্যে ডুবে থাকে কারখানাতে বা ক্ষেতে।১৪


অসাধ্য কাজ নয় তো কিছুই দেবেই ধরা সাফল্য
দিতে পারে বছর পরে, আজ বা আগামীকল্য।১৫


যাকে নিয়ে দিন গুজরান উচ্ছলতায় মন ভরাই  
এক পলকেই হারিয়ে গেল খাচ্ছে গিলে শূন্যতাই।১৬


আর কতদিন এমন করে আমায় তুমি রাখতে চাও
আমার মুখে বাণী দিয়ে 'ভালোবাসি' বলতে দাও।১৭


প্রভু তোমার এ কী বিচার করে দিলে এক স্থবির
প্রকাশ করার ক্ষমতা দাও কপোল বেয়ে তপ্ত নীর।১৮


কী ভেবেছে মন পাপিয়া যখন প্রেমে পড়েছি
জানতে হবে তাঁর অভিমত সত্যি কি ভুল করেছি?১৯


গালি দিয়ে চাইছো আদর ব্যাপার বোধগম্য নয়
কেমন করে ভাবলে তুমি রূঢ় বাক্যে হয় সদয়!২০


বিমর্ষ মুখ দেখে আমার অনুকম্পা জাগল না?
মশকরাতে করলে হেয় আমার এ মন বুঝলে না।২১


অশ্রুপাতে ব্যথাও ঝরে ওতেই হালকা করি মন
না হলে তো পাহাড় হত বুকের ভিতর চাপ তখন।২২


প্রেমের জন্য দিতে পারি তুচ্ছ এ প্রাণ বিসর্জন
মৃত্যু বড়ই রমণীয় নিসর্গীয় ভাব তখন।২৩


সে কি তোমার প্রীতিভাজন ঘনিষ্ঠতা যার সাথে
ধরে নাও-না মন্দ আমি রাখবে না হাত এই হাতে? ২৪


কী ছাইপাঁশ লিখি আমি তোমার দৃষ্টি এড়ায় না
এই বান্দা দেখতে দিয়ে পকেট কেটে সরায় না।২৫


© অজিত কুমার কর