যাদের ছবি পড়ছে চোখে ওরা শ্রমিক পরিযায়ী
ওদেরও ঘরবাড়ি আছে এই ভারতে চিরস্থায়ী।
           পেয়েছে বেশ গালভরা নাম
            বেড়েই গেল ওদের সুনাম
লকডাউনে কী দুর্দশা প্রশাসন না, ওরাই দায়ী?
নিজামুদ্দিন, বিয়েবাড়ী স্টেশন বান্দ্রা হিল্লি-দিল্লি
                সর্বক্ষেত্রে নিয়ম ভঙ্গ
               দেখবো কত এমন রঙ্গ
সুরক্ষিত আমলা মন্ত্রী, মরুক শ্রমিক ছুঁচো বিল্লি।


দিল-কী-বাতের কী মহিমা শুনতে ছোটে হুমড়ি খেয়ে
বিকাশ না হয় নিকাশ হবে করোনা যে যাচ্ছে ছেয়ে।
               কী যে ধান্দা ওদের মনে
                শলা চলে খুব গোপনে
তদারকির নামে হুঙ্কার বারে বারে আসছে ধেয়ে।
সদিচ্ছা নেই ফিরুক ঘরে কত রকম ফক্কিবাজি
            লক্ষ কোটির গল্প শোনায়
          শ্রমিক তোমার দম আছে পা'য়
ঠান্ডা খাঁচায় বিশাল ভাড়া হাঁটার জন্য তৈরি পা-জি।


হাঁটার জন্য আকাশ তো নয় লাগে শুধু শক্ত মাটি
চালক তোমায় পিষতে পারে মনে রেখো এই কথাটি।
                 সকল জীবের মৃত্যু হবে
                  দুর্ভাবনা কীসের তবে
যুক্তি তর্কে লিপ্ত ওরা কাড়বে না কেউ এখন রা-টি।
পা চালিয়ে এগিয়ে চলো অনেকটা পথ এখন বাকি
             যতই কষ্ট হোক না তোমার
             আলো বাতাস ধরিত্রী মা'র
শুনতে তুমি পাচ্ছ নাকি আপনজনের ডাকাডাকি।