ভোর হলে পাখি ডাকে নীড় ছেড়ে যায়
দিবাকর পুবাকাশে আঁখি মেলে চায়।
ঝলমল করে ওঠে ঘাসে জলকণা
মানিকের সমারোহে হই আনমনা।
ফুলে ফুলে প্রজাপতি অলি গায় গান
রেণু মেখে লাজে রাঙা করে মধু পান।  
শ্যামামার আগমনে জেগে ওঠে পাড়া
পাঠশালে ছুটি তাই কাজে নাই তাড়া।

রোশনাই চারিদিকে জ্বালি ফুলঝুরি
আলো দিয়ে সাজগোজ কত কারিকুরি।
ফুলমণি আর আমি পড়ি একসাথে
যাই আমি ওর বাড়ি মোমবাতি হাতে।
ওকে বলি, ‘জ্বালা তুই, কেকটুকু খেয়ে’
ঝরে পড়ে খুশি তার উপহার পেয়ে।